ইউক্রেনে আরও দুটি গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ইজিয়াম শহরে শনাক্ত হওয়া ওই দুই গণকবরে শত শত মানুষকে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি রুশ সেনাদের হাত থেকে ওই শহরের নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয়েছে ইউক্রেন।
রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে এক সাক্ষাতকারে জেলেনস্কি বলেন, আরও দুটি গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। এগুলোতে শত শত মরদেহ পাওয়া গেছে। আমরা ছোট্ট শহর ইজিয়ামের কথা বলছি।
তিনি রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রেখে দেশটিতে চাপে রাখারও আহ্বান জানিয়েছেন। চলতি মাসে ইউক্রেনের সেনাদের পাল্টা আক্রমণে উত্তর-পূর্ব ইউক্রেন থেকে রুশ সেনারা সরে যেতে বাধ্য হয়েছে বলেও দাবি করেন জেলেনস্কি।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত সংঘর্ষ চলছেই। এরই মধ্যে ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে বেশ কয়েকটি গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। রুশ সেনারা সেখানে শত শত মানুষকে মাটিচাপা দিয়ে রেখেছে বলে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।
এর আগে চলতি মাসের শুরু ইজিয়ামে এক বিশাল গণকবরের সন্ধান মেলে। কর্তৃপক্ষ সেখানে ৪৩৬ মরদেহের সন্ধান পায়। সেখানকার আঞ্চলিক গভর্নর জানায় যে, অধিকাংশ মরদেহ দেখে মনে হচ্ছে সংঘাতের কারণেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, জেনেশুনেই নিজ দেশের নাগরিকদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শনিবার এক ভাষণে রুশ নাগরিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তাদের প্রেসিডেন্ট জেনেশুনেই তাদের মৃত্যুর মুখে পাঠাচ্ছেন।
রুশ ভাষায় দেওয়া ওই ভাষণে জেলেনস্কি রুশ বাহিনীকে আত্মসমর্পনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আপনাদের সঙ্গে সভ্য আচরণ করা হবে। আপনারা কোন পরিস্থিতিতে আত্মসমর্পন করেছেন তা কেউ জানতে পারবে না।
চলতি সপ্তাহে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ ও যুদ্ধের ময়দান থেকে পালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে কঠোর শাস্তির বিধান রেখে একটি আইন পাস করে রাশিয়া। রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের নির্দেশেই ওই আইন পাস হয়েছে। মস্কোর এই পদক্ষেপের কয়েক ঘণ্টার মাথায় রুশ সেনাদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানান জেলেনস্কি।