পাচারের জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় একটি বিপন্ন উল্লুকসহ এক পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)র একটি দল।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মিয়াবাজারে হোটেল গ্রীন ভিউ এলাকায় যাত্রীবাহী বাস থেকে উল্লুকটিকে উদ্ধার ও পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) এম তানভীর আহমেদ জানান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) রাজন কুমার দাসের নির্দেশনায় গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজেস বড়ুয়া একটি দল নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় একটি যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশি চালিয়ে লুকিয়ে রাখা উল্লুকটিকে জব্দ করেন।
গ্রেফতার হওয়া সোহেল জানায় সে উল্লুকটিকে ১৬ হাজার টাকায় বান্দরবানের এক ব্যক্তির কাছ থেকে ক্রয় করে। সোহেলের উদ্দেশ্য ছিল ভারতীয় পাচারকারীদের হাতে উল্লুকটি তুলে দেয়ার। ওই দেশের পাচারকারীদের সাথে সোহেলের দামও ঠিক হয়েছিল। সোহেলের সেলফোন সেটে বহু বিপন্ন প্রাণীর ছবি পেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। তাতে প্রমাণ হয় সোহেল বন্যপ্রাণী পাচারকারী দলের সক্রিয় সদস্য।
সোহেলের বিরুদ্ধে বন্য প্রাণী আইনে মামলা দায়ের করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং উল্লুকটি কুমিল্লা বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
কুমিল্লা বনবিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী বলেন, উল্লুক মহাবিপন্ন প্রাণী। বাংলাদেশে মাত্র আড়াইশ’টি উল্লুক রয়েছে। এসব প্রাণী ভারত হয়ে মধ্যপ্রাচ্যর ধনীদের ব্যক্তিগত চিড়িয়াখানায় স্থান পায়। মাঝে হাত বদলের সময় বড় অংকের লেনদেন হয়। উদ্ধার করা উল্লুকটিকে আমরা চট্টগ্রাম বন্য সংরক্ষণাগারে পাঠাবো
গ্রেফতার ব্যক্তি মো. জুয়েল রহমান সোহেল (২৭)। তার বাড়ি খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ১৭ নং ওয়ার্ডের হাফিজনগর এলাকায়।