জ্যামাইকার বিপক্ষে শুরুর একাদশ নিয়ে পরীক্ষা চালালেন লিওনেল স্ক্যালোনি, থাকলেন না লিওনেল মেসিও। ঠিক জমছিল না আর্জেন্টিনার ম্যাচও। কিন্তু মেসি নামতেই যেন বদলে গেলো ম্যাচের চেহারা। শেষ দিকে ঝলক দেখালেন তিন মিনিটের ব্যবধানে জোড়া গোল করে। তাতে ৩-০ গোলে জিতে যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষ করলো আর্জেন্টিনা।
বুধবার ভোরে রেড বুল অ্যারেনায় ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচের প্রথমার্ধে হুলিয়ান আলভারেজের গোলে এগিয়ে থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে জোড়া গোল করেন মেসি। এ নিয়ে টানা ৩৫ ম্যাচ জেতার রেকর্ড গড়ল স্ক্যালোনি শিষ্যরা।
ম্যাচে প্রথম গোলের দেখা পেতে অবশ্য লম্বা সময় অপেক্ষা করতে হয়নি আর্জেন্টিনার। ১৩তম মিনিটে গোল করে তাদের এগিয়ে দেন আলভারেজ। তাতে অবদান আছে লাউতারো মার্টিনেজের।
এই স্ট্রাইকারকে মার্ক করা ফুটবলারকে কাটিয়ে তিনি কাটব্যাক করেন আলভারেজের উদ্দেশ্যে। পেনাল্টি বক্সে ফাঁকায় থাকা ম্যানচেস্টার সিটি তারকা সেটি আর মিস করেননি। এর পাঁচ মিনিট পর আলভারেজ বল দিয়েছিলেন লো সেলসোকে। সময় পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন তিনি। প্রথমার্ধে আর কোনো গোলের দেখা পায়নি আর্জেন্টিনা।
দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন আনেন স্ক্যালোনি। ৫৬ মিনিটে মার্টিনেজকে তুলে নামানো হয় লিওনেল মেসিকে। এরপরই যেন ধীরে ধীরে বদলে যেতে থাকে আর্জেন্টিনার খেলা। আসল জাদুর দেখা মেলে ৮৬তম মিনিটে এসে।
র্যাঙ্কিংয়ে অনেক পিছিয়ে থাকা জ্যামাইকার বিপক্ষে এক গোলের জয় নিশ্চয়ই কিছুটা হলেও অস্বস্তির হতো আর্জেন্টিনার জন্য। সেটি হতে দেননি মেসি। একদম হুট করেই গোলটি করে বসেন তিনি। বক্সের বাইরে বল পেয়ে কিছুটা সময় নেন, কয়েকবার বল স্পর্শের পর বাইরে থেকেই নেন শট। গোলও হয় অবলীলায়।
দুই মিনিট পরই ব্যবধান আরও বাড়ান মেসি। বক্সের সামান্য বাইরে ফ্রি কিক পায় আর্জেন্টিনা। তার নিচু শট ফাঁকা জায়গা দিয়ে জালে জড়ায়। এই গোলের মাধ্যমে আর্জেন্টিনার জার্সিতে ৯০তম গোল পূর্ণ হলো মেসির। তাতে স্বস্তির জয় পেল আলবিসেলেস্তেরাও।