ভারতের আপত্তি সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বাহিনী পাকিস্তানে অস্ত্র সরবরাহ করার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করার কথা জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। ভারত জানিয়েছে, ওয়াশিংটন ও ইসলামাবাদের মধ্যকার ৪৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান চুক্তিটির টার্গেট করছে তারা।
মঙ্গলবার রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
ব্লিনকেন জানান, চলতি মাসের শুরুর দিকে সামরিক প্যাকেজটি পাকিস্তানের বর্তমান বিমান বহরটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়।
তিনি বলেন, চুক্তিতে নতুন কোনো বিমান, নতুন কোনো সিস্টেম বা নতুন অস্ত্র সরবরাহ করার কথা নেই। এতে কেবল তাদের (পাকিস্তানের) কাছে যেগুলো আছে, সেগুলো টিকিয়ে রাখার চুক্তি।
ব্লিনকেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুভ্রাক্ষ্মণ জয়শঙ্করের সাথে কথা বলেছেন বলেও জানান।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানের সাথে সম্পাদিত চুক্তির লক্ষ্য হলো পাকিস্তান বা এই অঞ্চল থেকে উদ্ভূত সন্ত্রাসী হুমকি সামাল দিতে পাকিস্তানের সক্ষমতা বাড়িয়ে তোলা। ওই সব হুমিককে দায়মুক্তভাবে বহাল থাকতে দেয়ার মধ্যে কারো স্বার্থ নিহিত নয়।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির সাথে সাক্ষাতের এক দিন পর তিনি জয়শঙ্করের সাথে দেখা করেন।
সোমবার সাক্ষাতের পর তিনি বলেন, ‘আলোচনায় আমরা ভারতের সাথে দায়িত্বপূর্ণ সম্পর্কের গুরুত্ব নিয়ে কথা বলেছি।’ এ ব্যাপারে তিনি বিস্তারিত কিছু বলেননি।
এক দশক ধরে পাকিস্তান ও ভারত দুটি দেশের সাথেই সুসম্পর্ক রেখে চলেছে যুক্তরাষ্ট্র। যদি দেশ দুটির মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে জাতিগত বিরোধ রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র নিড প্রাইসমুখ পাত্র নিড প্রাইস সপ্তাহের শুরুতে বলেন, পকিস্তানও ভারত দু‘দেশের সাথে আমাদের সম্পর্ক নিজস্ব ভিত্তির ওপর রয়েছে।
এদিকে ব্লিংকেনের এফ-১৬ চুক্তি নিয়ে সমালোচনা করেননি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর। তবে রোববার এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যে অবস্থান নিয়েছে তাতে ‘কাউকে বোকা বানাতে পারবে না’।
তিনি আরো বলেন, ‘যখন এফ-১৬ এর মতো যুদ্ধবিমানের সক্ষমতা নিয়ে কথা হচ্ছে তখন কাউকে বলা হচ্ছে, আমি এটা সন্ত্রাস প্রতিরোধের জন্য করছি। কিন্তু সবাই জানে এটা কোথায় মোতায়েন করা হবে।’
তবে ধারণা করা হচ্ছে, এটা ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হবে।