শেষ ওভারে ইংলিশদের দরকার ১৫ রান। প্রথম ২ বলে কোনো রান নাই, পরের বল ওয়াইড, তৃতীয় বলে ছক্কা। সমীকরণ দাঁড়ায় ৩ বলে ৮ রানের। শেষ তিন বলে মাত্র ১ রান দিয়ে পাকিস্তানকে জয়ের আনন্দে ভাসান অভিষিক্ত আমের জামাল।
আরও একবার কাছে এসে স্বপ্ন ভাঙলো ইংল্যান্ডের। আগের ম্যাচে শেষ দুই ওভারে ৯ রান নিতে পারেনি ইংল্যান্ড। শেষ ওভারে দরকার ছিল মাত্র ৪। এই সমীকরণও মেলাতে পারেনি ইংলিশরা।
বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে লাহোরে সিরিজের পঞ্চম টি-টোয়েন্টিতে ৬ রানের রোমাঞ্চকর এক জয় পেয়েছে পাকিস্তান। এই জয়ে সাত ম্যাচ সিরিজে ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।
টস জিতে মইন আলী এ দিন প্রথমে ব্যাট করতে ডাকেন পাকিস্তানকে। কিন্তু মোহাম্মদ রিজওয়ান ছাড়া পাকিস্তানের কোনো ব্যাটারই এ দিন রান পেলেন না। একা রিজওয়ানই টানলেন দলের ইনিংস। তিনি ৪৬ বলে ৬৩ রান করলেন। মারলেন দুটি চার এবং তিনটি ছয়। তারপর পাকিস্তানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ইফতিকার আহমেদের ১৪ বলে ১৫।
ইংল্যান্ডের বোলিং আক্রমণের সামনে প্রথম থেকেই ধারাবাহিকভাবে উইকেট হারাতে শুরু করেন বাবররা। ৯ রান করে প্রথমে সাজঘরে ফেরেন বাবর। এরপর একে একে ফিরে যান শান মাসুদ (৭), হায়দর আলি (৪), আসিফ আলি (৫), মোহাম্মদ নওয়াজ (শূন্য), শাদাব খান (৭), আমির জামালরা (১০) আউট হন। শেষে নেমে রউফ করলেন ৮ রান। ১০ নম্বরে ব্যাট করতে নামা মোহাম্মদ ওয়াসিম অপরাজিত থাকেন ৬ রান করে।
ইংল্যান্ডের কোনো বোলারের সামনেই স্বাচ্ছন্দ ছিলেন না পাক ব্যাটাররা। সফরকারীদের সফলতম ব্যাটার মার্ক উড ২০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিলেন। ডেভিড উইলি এবং স্যাম কারেন দুজনেই ২৩ রান দিয়ে ২টি করে উইকেট পেয়েছেন। ৩০ রান দিয়ে ১ উইকেট ক্রিস ওকসের।
জবাবে ইংল্যান্ডের ব্যাটাররাও তেমন ব্যাটিং করতে পারলেন না। দুই ওপেনার ফিল সল্ট (৩) এবং অ্যালেক্স হোলস (১) দ্রুত আউট হয়ে যান। তিন নম্বরে নামা মালান ৬টি চারের সাহায্যে করলেন ৩৫ বলে ৩৬ রান। বেন ডাকেট (১০), হ্যারি ব্রুকও (৪) রান পেলেন না।
ছয় নম্বরে নেমে দলের ইনিংসকে টানলেন অধিনায়ক মইন। তিনি শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকলেন ৩৭ বলে ৫১ রান করে। মারলেন ২টি চার এবং ৪টি ছয়। তবে কাছাকাছি নিয়ে গিয়েও দলকে জেতাতে পারলেন না অধিনায়ক মইন।
শেষ ওভারের ইংল্যান্ডের দরকার ১৫ রান। নাসিম শাহর অসুস্থতায় অভিষেক আমের জামালের হাতে বল তুলে দেন বাবর। শেষ পর্যন্ত অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দেন আমের।
যদিও টি-টোয়েন্টির শেষ ওভারে ১৫ রান তোলা তেমন কঠিন নয়। যেখানে মইন আলির মতো ব্যাটার রয়েছেন। কিন্তু শেষ ওভারের প্রথম ২ বলে কোনো রান নিতে পারেননি মইন। পরের বল ওয়াইড, তৃতীয় বলে ছক্কা মেরে পঞ্চাশে পৌঁছান বাঁহাতি অলরাউন্ডার। সমীকরণ নেমে আসে ৩ বলে ৮ রানে। এই সময়েই বের হয়ে আসে আমেরের সেরাটা।
পরের দুটি বল করেন ইয়র্কার, মইন নিতে পারেন একটি সিঙ্গেল। শেষ বলে ডেভিড উইলির সামনে সুযোগ ছিল ছক্কা মেরে টাই করার। কিন্তু আরেকটি ফুল লেংথ ডেলিভারিতে কিছুই করতে পারেননি তিনি। উল্লাসে মাতে গাদ্দাফি স্টেডিয়াম।
পাকিস্তানি বোলারদের মধ্যে হারিস রউফ ২ উইকেট পেলেও খরচ করেন ৪১ রান। একটি করে উইকেট নেন আমির জামাল, মোহাম্মদ নওয়াজ, শাদাব খান আর ইফতিখার আহমেদ। আগামী শুক্রবার একই মাঠে হবে ষষ্ঠ টি-টোয়েন্টি।