গত বছর অনেক আশা-ভরসা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে টি-২০ বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছিল বাংলাদেশ দল। কিন্তু বিশ্বকাপে ভরাডুবি হয়েছিল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নেতৃত্বাধীন টাইগারদের। মূল পর্বে কোনো ম্যাচই জিতেনি দলটি।বছর ঘুরে আবারও দুয়ারে টি-২০ বিশ্বকাপ। আগামী ১৬ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়ায় শুরু হবে বিশ্বকাপ। এবার বিশ্বকাপে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে সরাসরি মূল পর্বে খেলবে বাংলাদেশ দল। ২০০৭ সাল থেকে বিশ্বকাপের মূল পর্বে কোনো জয় নেই বাংলাদেশের। সাকিবের অধিনায়কত্বে এবার নিশ্চিতভাবে সেই বন্ধ্যাত্ব ঘুচাতে মুখিয়ে থাকবেন ক্রিকেটাররা।
অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বকাপ খেলতে নামার আগে নিজেদের ঝালাই করে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন টাইগাররা। পেস-বাউন্সি কন্ডিশনের আবহ পাওয়া যাবে বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে। যেখানে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবেন সাকিবরা।
ত্রিদেশীয় সিরিজ ও বিশ্বকাপ খেলতে আজই দেশ ছাড়ছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। শুক্রবার রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে ফ্লাইট সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু হবে টাইগারদের। ঢাকা থেকে সিঙ্গাপুর হয়ে ক্রাইস্টচার্চে যাবে দল। আগামী ৩ অক্টোবর থেকে ক্রাইস্টচার্চে অনুশীলন শুরু হবে। আগামী ৭ অক্টোবর ক্রাইস্টচার্চে সিরিজের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামবে সাকিববাহিনী।
সদ্যই সিপিএল (ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ) মিশন শেষ হয়েছে সাকিবের। সরাসরি ক্রাইস্টচার্চে দলের সঙ্গে যোগ দিবেন তিনি।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে দুই ম্যাচ জেতায় দলে ফিরেছে আত্মবিশ্বাস। জয়ের ছন্দ ফিরেছে দলে। এখন বিশ্বকাপের মূল প্রস্তুতি হবে ত্রিদেশীয় সিরিজে। আদর্শ প্রস্তুতির আশাই করছেন জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, ‘প্রস্তুতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আত্মবিশ্বাস বাড়ানো, খেলোয়াড়দের সাহস বাড়ানো, কন্ডিশনে মানিয়ে নেওয়ার বিষয় আছে। কন্ডিশন কাছাকাছি থাকবে। ভালো উইকেট থাকবে।’ পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ডের মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে খেললে ক্রিকেটারদের অবস্থান, দলের ভারসাম্য, সঠিক কম্বিনেশনও খুঁজে পাওয়ার সুযোগ থাকছে বাংলাদেশের। গতকাল প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘কেমন খেলবে সামনে এমন একটা ধারণা এখানে পাওয়া যেতে পারে। দুইটা ভালো দলের সঙ্গে খেলবে। পাকিস্তান টি-২০ তে ভালো দল। নিউজিল্যান্ড তো নিজেদের মাঠে খুবই শক্তিশালী।’
কন্ডিশন অনুযায়ী ভারসাম্যপূর্ণ একাদশ পেতে টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট শ্রীধরন শ্রীরাম ইঙ্গিত দিয়েছেন ত্রিদেশীয় সিরিজেও একাদশে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলবে। নান্নু বলছেন, ফরম্যাট অনুযায়ী ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সটাই খুঁজবে টিম ম্যানেজমেন্ট। তিনি বলেন, ‘আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা বলছি না। আমরা দেখতে চাই ক্রিকেটারদের ইতিবাচক মনোভাব, সঠিক মানসিকতা। প্রতিটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। ক্রিকেটারদের সাহস নিয়ে খেলতে হবে, যার যা দায়িত্ব সেটা যেন পালন করতে পারে।’
বিশ্বকাপের আগে আগামী ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত বিশ্বকাপ দলে পরিবর্তনের সুযোগ থাকছে। প্রধান নির্বাচক জানিয়েছেন, ত্রিদেশীয় সিরিজে তেমন ফরমহীন কাউকে পেলে পরিবর্তনের পথে হাঁটতেও পারেন তারা।