গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় রেল ধর্মঘটের সম্মুখীন হয়েছে ব্রিটেন। চাকরির নিরাপত্তা ও বেতন বৃদ্ধির ইস্যুতে তিনটি ট্রেড ইউনিয়নের হাজার হাজার শ্রমিক গতকাল শনিবার ২৪ ঘণ্টার ধর্মঘট পালন করেন। এতে দেশটির অধিকাংশ রেলব্যবস্থা ভেঙে পড়ে।
ব্রিটেনে গত এক বছর ধরেই শ্রমিক অসন্তোষ দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে ডাকা ধর্মঘটগুলোর মধ্যে এটি একটি। এতে পরিবহনশ্রমিক থেকে শুরু করে আইনজীবীরাও যোগ দিয়েছেন। কারণ দেশটিতে জ্বালানি ও খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। যুক্তরাজ্যে এরই মধ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়ে প্রায় ১০ শতাংশের কাছাকাছি হয়েছে, যা গত ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এতে নানা ধরনের সংকটের মুখে পড়েছেন শ্রমিকেরা।
আরএমটি ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মিক লিঞ্চ বলেছেন, এই অচলাবস্থা ভাঙবে এমন কোনো কোম্পানির কাছ থেকে আমরা এখনো প্রস্তাব পাইনি। তিনি বলেন, সব কোম্পানি এখন রেলওয়ে থেকে মুনাফা আহরণ বা প্রচুর লাভ করছে। তার পরও কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের মজুরি ও চাকরি ছেড়ে দিতে বলছে। আরএমটি, এআইএলইএফ ও টিএসএসএস ইউনিয়নের মোট ৫০ হাজার রেলশ্রমিক শনিবার ২৪ ঘণ্টার ধর্মঘট পালন করেন। এতে ১৪টি অপারেটরস ও রেল নেটওয়ার্ক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই বছর ব্রিটেন ব্যাপক ধর্মঘটের মুখোমুখি হয়, যেখানে আইনজীবীদের সঙ্গে পরিবহন ও ডাককর্মীরা জড়িত হন। কারণ ক্রমবর্ধমান জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির সঙ্গে মজুরি হ্রাস করা হয়েছে।
আরএমটি ইউনিয়নের একটি প্রতিনিধিদল গত সপ্তাহে ব্রিটেনের নতুন পরিবহনসচিব অ্যান-মেরি ট্রেভেলিয়ানের সঙ্গে দেখা করেছে, যেই আলোচনাকে ‘উত্সাহজনক’ হিসেবে বর্ণনা করেন মিক লিঞ্চ। নেটওয়ার্ক রেল, যা দেশের বেশির ভাগ রেল নেটওয়ার্ক এবং এ-সম্পর্কিত অবকাঠামো চালায় তারা ধর্মঘটকে ‘অপ্রয়োজনীয় ও ক্ষতিকর’ বলে অভিহিত করে উল্লেখ করে যে এর সর্বশেষ প্রস্তাবে সুবিধাসহ দুই বছরে ৮ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির কথা ছিল। তারা আরো বলে যে এর মাত্র ১১ শতাংশ রুট শনিবার চলবে।