আগামী সপ্তাহ থেকে প্রতিদিন এক মিলিয়ন ব্যারেলেরও বেশি তেলের উৎপাদন কমানোর কথা বিবেচনা করবে ওপেকপ্লাস। মহামারির পর এটি সবচেয়ে বড় উৎপাদন হ্রাস। এর জেরে বিশ্ববাজারে তেলের সংকট ঘনীভূত হতে পারে এবং জ্বালানির দাম বাড়তে পারে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল।
তেলের দরপতন ও কয়েক মাস ধরে বাজারে তীব্র অস্থিরতার পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (৫ অক্টোবর) এ বিষয়ে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
ওপেকপ্লাস, যেটি ওপেক দেশগুলো এবং রাশিয়াসহ মিত্র দেশগুলোকে একত্র করে। বিশ্ব অর্থনীতিকে চাঙা করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রধান গ্রাহকদের চাপ সত্ত্বেও তেলের দাম কমানো ও উৎপাদন বাড়ানোর বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেছে সংস্থাটি।
বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা ও ফেডারেল রিজার্ভের হার বাড়ানোর পরও গত মাসে ক্রমাগতভাবে তেলের দাম কমেছে। তবে সূত্র জানিয়েছে, দিনে এক মিলিয়ন উৎপাদন কমানোর প্রস্তাবে সৌদি আরবের স্বেচ্ছায় অতিরিক্ত উৎপাদন হ্রাসও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
অপরিশোধিত তেলের দাম পড়তে থাকায় ওপেক ও সহযোগী দেশগুলোর আয় কমছিল। তাই তারা জোগান বা উৎপাদন কমিয়ে তেলের দাম বাড়ানোর ছক করছিল তারা। তবে ওপেকভুক্ত সব দেশ এ ব্যাপারে একমত হয়নি বলেই জানা যায়।
গত ৬ সেপ্টম্বর ওপেকভুক্ত দেশগুলো তেলের উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তখন এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, প্রতিদিন ১ লাখ ব্যারেল তেল কম উৎপাদন করবে সংস্থাটি। তখন থেকেই বাজারে এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বে তেল-সংকট এমনিতেই বাড়ছিল। বাড়ছিল দামও। তার মধ্যে ওপেকপ্লাস ও সহযোগীরা উৎপাদন কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় সংকট আরো বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।