ইউক্রেনের দক্ষিণের খেরসন অঞ্চলের একটি গ্রাম রুশ বাহিনীর কাছ থেকে পুনরুদ্ধারের দাবি করেছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। এ অঞ্চল থেকে রুশ সেনারা পিছু হটেছে বলেও জানিয়েছে ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় একটি ভিডিও পোস্ট করেছে। ভিডিওতে ৩৫তম মেরিন ব্রিগেডকে খেরসনের ‘ডেভিডিভ ব্রিড’ গ্রামে পতাকা ওড়াতে দেখা গেছে।
রুশ বাহিনী এর আগেই ইউক্রেনের উত্তর-পূর্ব দিক থেকে পিছু হটেছে। এখন দক্ষিণ দিক থেকেও তারা পিছু হটতে বাধ্য হচ্ছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলকে রাশিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করার আদেশে স্বাক্ষর করার পর এসব অঞ্চলে যুদ্ধ বেড়েছে।
আন্তর্জাতিক আইনে এ ধরনের সংযুক্তির কোনো বৈধতা নেই। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পুতিনের ডিক্রিকে অকার্যকর ঘোষণা করেছেন।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গতকাল মঙ্গলবার জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র কখনোই রাশিয়ার সংযুক্তিকে স্বীকৃতি দেবে না। দুই প্রেসিডেন্ট হিমার্স রকেট লাঞ্চারসহ ৬২৫ মিলিয়ন ডলার মার্কিন সহায়তা নিয়েও আলোচনা করেছেন।
রাশিয়া এখনো দক্ষিণাঞ্চলের রাজধানী খেরসন শহর নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। কিন্তু উত্তরাঞ্চলে রুশদের দখল ক্রমশ নড়বড়ে হয়ে যাচ্ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ইউক্রেনের সেনারা দিনিপার নদীর পশ্চিম তীর বরাবর রুশ সেনাদের ঠেলে দিয়েছে। রুশ সেনারা এখন খেরসন অঞ্চলের উত্তর দিকের বেশ কয়েকটি বসতি থেকে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেছে, ‘ডেভিডিভ ব্রিড গ্রামের ওপর আবারও ইউক্রেনের পতাকা উড়ছে।’ এই গ্রামের বাসিন্দারা ইউক্রেনীয় সেনাদের গ্রামের ভেতর দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় ছবি তুলে আনন্দ প্রকাশ করেছে।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেলেনস্কি তাঁর ভাষণে বলেছেন, ‘লুবিমিভকা, খ্রেশচেনিভকা, জোলোটা বলকা, বিলিয়াইভকা, ইউক্রেনকা, ভেলিকা ওলেক্সান্দ্রিভকা এবং মালা ওলেক্সান্দ্রিভকা গ্রামগুলো শত্রুমুক্ত করা হয়েছে।’
ইউক্রেনের উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়েভেন এনিন বলেছেন, এ পর্যন্ত ৫০টি শহর ও গ্রাম পুনরুদ্ধার করা হয়েছে এবং খেরসনে প্রায় ৩ হাজার ৫০০ নাগরিককে মুক্ত করা হয়েছে।