এ বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ফ্রান্সের লেখক অ্যানি আরনোঁ। বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর)বিকেল ৫টায় সুইডিশ অ্যাকাডেমি ৮২ বছর বয়সী লেখকের নাম ঘোষণা করে।
নোবেল কমিটি বলেছে, ব্যক্তিস্মৃতির উৎসমূল, বিচ্ছিন্নতা এবং যৌথ অবদমনের চিত্র ক্ষুরধার ও সাহসী ভঙ্গীতে লেখনীতে তুলে ধরেছেন অ্যানি আরনোঁ।
আরনোঁর জন্ম ১৯৪০ সালে ফ্রান্সের নরম্যান্ডিতে। বাবা-মা ক্যাফে ও মুদি দোকান চালাতেন। তার সাহিত্যিক হয়ে ওঠার পথ ছিল দীর্ঘ।
আরনোঁ নিজের লেখায় ধারাবাহিকভাবে ও বিভিন্ন দৃষ্টভঙ্গি থেকে লিঙ্গ, ভাষা এবং শ্রেণিবৈষম্যে ভরপুর জীবন নিয়ে নিরীক্ষা চালিয়েছেন। ৩০টিরও বেশি রচনা রয়েছে তার।
তিনি ১৯৭৪ সালে শুরু হয় তার সাহিত্যিক জীবন। , আরনোঁর কাজ এতটাই তথ্যসম্মৃদ্ধ যে কিছু ইংরেজিভাষী সমালোচক ও প্রকাশক সেগুলোকে স্মৃতিকথা হিসাবে চিহ্নিত করতে চান।
তবে আরনোঁ নিজে সবসময় বলেছেন তিনি কথাসাহিত্যিক। তার অনেক কাজ ইংরেজিতে অনূদিত হয়েছে। দ্য ইয়ার্সের ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক বুকার পুরস্কারে মনোনীত হন আরনোঁ।
নোবেল কমিটির মতে, আরনোঁ স্বাধীন শক্তির লেখনীতে বিশ্বাসী। তার কাজ আপসহীন। তার সাহিত্যের ভাষা সরল ও প্রাঞ্জল।
আরনোঁ বেশ কয়েকটি বিখ্যাত উপন্যাস লিখেছেন, যার মধ্যে অনেকগুলো আত্মজৈবনিক। তার প্রথম বই লা আরমোরিস ভিদে ফরাসি ভাষায় প্রকাশিত হয় ১৯৭৪ সালে। ১৯৯০ সালে ইংরেজিতে বের হয় ‘ক্লিনড আউট’। আরনোঁর লেখা উপন্যাস লা প্লেস (১৯৮৩) এবং ১৯৯২ সালে প্রকাশিত আ ম্যান’স প্লেস ব্যাপক পাঠক সমাদৃত হয়।
নিজের লেখনী নিয়ে অ্যানি আরনোঁ বলেন, ‘লেখা একটি রাজনৈতিক কাজ। এটি সামাজিক বৈষম্যের প্রতি আমাদের চোখ খুলে দেয়।’
নোবেল কমিটি বলেছে, সাহিত্যের ভাষাকে তিনি ‘ছুরি’ হিসেবে ব্যবহার করেন। এটি দিয়ে কল্পনার আবরণ ছিঁড়ে ফেলার আহ্বান জানান।
গত বছর, সাহিত্যে নোবেল পেয়েছিলেন তানজানিয়ান বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক আব্দুরাজাক গুরনাহ।