বিএনপি`র বিভাগীয় সমাবেশ উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপি`র সমাবেশ ১২ অক্টোবর নগরীতে অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশের নির্দিষ্ট সভাস্থল এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নিশ্চিত করতে পারেনি বিএনপি নেতৃবৃন্দরা।
বিএনপির আহ্বায়ক ডা.শাহাদাত হোসেন বলেন, কাজীর দেউড়ি লালদীঘি ও পলোগ্রাউন্ডে সমাবেশ হতে পারে। সমাবেশের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। সমাবেশের অনুমতি পাওয়ার প্রসঙ্গে প্রশাসনের সাথে কথা চলছে বলে জানান।
তিনি আরো বলেন, ১২ অক্টোবর সমাবেশে জনসমাগম দেখে সরকার পালানোর রাস্তা খুঁজবে। সরকার পতনের ডাক চট্টগ্রাম থেকে দেওয়া হবে।
এদিকে সমাবেশ সফল করতে বিএনপির নগর জেলা উপজেলা পর্যায়ের নেতারা নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন।
লোহাগাড়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক নাজমুল মোস্তফা আমিন বলেন, আমাদের লোহাগাড়া থেকে নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ প্রায় ৫০ হাজার লোক নিয়ে সমাবেশে যোগদান করব। কোন মানুষকে আমাদের ডাকতে হচ্ছে না। মানুষ এতটা অতিষ্ঠ হয়েছে তা বলার মত না। একটি দাবি সরকার পতন।
সমাবেশে আসা-যাওয়ার সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। চট্টগ্রামের সমাবেশের ওপর অন্য বিভাগীয় সমাবেশের সফলতা-ব্যর্থতা অনেকাংশে নির্ভর করছে। এ জন্য চট্টগ্রামের গণসমাবেশ সফল করাকে এক ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের নেতারা।
সূত্র জানায়, বিএনপি চট্টগ্রামে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করতে চায়। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কিংবা ক্ষমতাসীন দল থেকে কোনো ধরনের বাধা এলে শক্তভাবে মোকাবিলা এবং প্রয়োজনে প্রতিরোধের প্রস্তুতি রেখেছে। এ বিষয়ে হাইকমান্ড থেকেও দেওয়া হয়েছে নানা নির্দেশনা। কেউ যাতে বাধা দেওয়ার সাহস করতে না পারে, সে জন্য দলবেঁধে সমাবেশে যোগদানের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বিএনপির চট্টগ্রাম সাংগঠনিক বিভাগের অন্তর্ভুক্ত ১০টি ইউনিট। এরমধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর, চট্টগ্রাম উত্তর, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা, কক্সবাজার, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর। এরইমধ্যে সবক`টি ইউনিটে সিনিয়র নেতারা প্রস্তুতি সভা করেছেন। জেলা-উপজেলা পর্যায়েও হয়েছে কর্মিসভা। এসব প্রস্তুতি সভায় কেন্দ্রীয় নেতারা সমাবেশ সফলে নানা দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
এরমধ্যে গত ৩০ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি কার্যালয়ে দলের বিভাগীয় পর্যায়ের প্রস্তুতি সভায় অংশ নিয়ে জেলা পর্যায়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। সভায় কর্মসূচিতে বাধা এলে করণীয় বিষয়ে আলোচনা হয়। আমীর খসরু নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন। তবে বাধা এলে প্রয়োজনে প্রতিরোধ করতে হবে।
তিনি বলেন, `বিএনপির ছোট ছোট সমাবেশে বাধা দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত বড় সমাবেশে সরকার সাহস করেনি। আমরা আশা করছি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করবে। তা না করে যারা বাধা দেবে, তাদের প্রতিরোধ করা হবে।`
চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বে থাকা বিএনপির ভাইস চেয়ারমান মো. শাহজাহান বলেন, চট্টগ্রামে শুরু আর রাজধানীর মাধ্যমে গণসমাবেশ কর্মসূচি শেষ হবে। নানা কারণে চট্টগ্রাম বিএনপির জন্য গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক অঞ্চল। দলের অবস্থানও ভালো। এ জন্য এই সমাবেশের মাধ্যমে আমরা চমকে দিতে চাই। এই সমাবেশ হবে সরকারকে টালমাটাল করার কর্মসূচি। সব মিলিয়ে সমাবেশকে আমরা পরীক্ষা হিসেবে নিয়েছি। বরাবরের মতো সমাবেশ সফলে বড় ভূমিকা রাখতে হবে চট্টগ্রাম মহানগরকে।