জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানালেনা বেয়ারবক জানিয়েছেন, ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। দেশটিতে যেভাবে বিক্ষোভ দমন করা হচ্ছে, তার প্রতিবাদে এই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যারা এই কাজ করছেন তারা যাতে আর ইইউয়ে ঢুকতে না পারেন, সে ব্যবস্থা করবেন অ্যানালেনা বেয়ারবক। একটি সংবাদপত্রে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বেয়ারবক জানান, ইইউয়ের ২৭টি দেশে এই ধরনের মানুষদের যাবতীয় সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হবে।
বেয়াবক জানান, ‘যারা রাস্তায় প্রতিবাদরত মেয়েদের মারছেন, অপহরণ করছেন তারা ইতিহাসের ভুল দিকে আছেন। তারা মেয়েদের স্বাধীনভাবে বাঁচতে দিতে চান না।
বেয়ারবক এর আগে ইরানের কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়ে বলেন, তারা যেন মেয়েদের দাবি মেনে নেয়। কারণ মেয়েরা ন্যূনতম অধিকার চাইছে।
কিন্তু ইরানের কর্তৃপক্ষ গত চার সপ্তাহ ধরে মেয়েদের নির্বিচারে আটক করছে। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর রিপোর্ট অনুযায়ী, ইরানে ১৮৫ জন বিক্ষোভকারীকে হত্যা করা হয়েছে। কয়েকশ নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রোববার (৯ অক্টোবর) ইরানের রাজনৈতিক নেতারা ক্রাইসিস বৈঠকে বসেছিলেন। মাহশা আমিনির মৃত্যুর পর ইরানজুড়ে যে বিক্ষোভ হচ্ছে, তা নিয়েই আলোচনা হয়েছে এই বৈঠকে। আমিনির মৃত্যুর পর ইরানে মেয়েরা পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। তারা চুল কেটে ফেলছেন, হিজাব পোড়াচ্ছেন।
এই বৈঠকে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ছাড়া পার্লামেন্টের স্পিকার এবং বিচারবিভাগের প্রধান উপস্থিত ছিলেন।