নাইজেরিয়ায় স্মরণকালের বন্যায় ছয় শতাধিক মানুষের মৃত্যু এবং ১৩ লাখ লোক বাস্তুচ্যুত ও দুই লাখেরও বেশি বাড়ি বিনষ্ট হয়েছে।
দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী বলেছেন, এ বন্যা ‘প্রবল’ দুর্যোগের রূপ নিয়েছে, সতর্ক করা সত্ত্বেও অনেক রাজ্য পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেয়নি।
দেশটির সরকার এ পরিস্থিতির জন্য অস্বাভাবিক ভারি বৃষ্টি ও জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করেছে। আর দুর্বল পরিকল্পনা ও অবকাঠামো ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছে বিশেষজ্ঞরা।
বন্যার কারণে কৃষি জমির বিশাল অংশ ডুবে ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া খাদ্য ও জ্বালানি সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে এবং রোগের বিস্তার বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
রোববার (১৬ অক্টোবর) এক সংবাদ সম্মেলনে নাইজেরিয়ার দুর্যোগ ও ত্রাণমন্ত্রী সাদিয়া উমর ফারুক অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বসবাসরত লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত এ বন্যা অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এবারের বন্যায় নাইজেরিয়ার ৩৬টি রাজ্যের মধ্যে ২৭টি দুর্যোগ কবলিত হয়েছে। প্রতি বছর বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর লোকজন নিচু সমভূমি এলাকায় তাদের বাড়িগুলোতে ফিরে আসে, অনেকেরই যাওয়ার কোনো জায়গা নেই। এটি সমস্যার একটি অংশ হয়ে আছে।