সরকারের পক্ষ থেকে নানা পদক্ষেপ নেওয়ার পরও বাড়ছে না বৈধ পথে প্রবাস আয়। চলতি মাসের প্রথম ১৩ দিনে দেশে প্রবাস আয় বা রেমিট্যান্স এসেছে ৭৭ কোটি মার্কিন ডলার। দেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১০৬ টাকা ধরে) যার পরিমাণ আট হাজার ১৬২ কোটি টাকা। চলমান ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে প্রবাস আয়ের পরিমাণ দাঁড়াবে ১৭৭ কোটি ডলার।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ পরিসংখ্যানে এই চিত্র পাওয়া গেছে।অক্টোবরের প্রথম ১৩ দিনে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পাঁচ বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ১৫ কোটি ৮৯ লাখ মার্কিন ডলার। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৫৯ কোটি ৩২ লাখ মার্কিন ডলার। বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৬ লাখ মার্কিন ডলার আর বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে এক কোটি ৪১ লাখ মার্কিন ডলার।
এই সময়ে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে বেসরকারি ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। ব্যাংকটির মাধ্যমে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ১৯ কোটি ১৮ লাখ ডলার। এরপর অগ্রণী ব্যাংকে পাঁচ কোটি ৫৩ লাখ, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকে চার কোটি ৭৭ লাখ, সোনালী ব্যাংকে চার কোটি ৪২ লাখ এবং ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে প্রবাস আয় এসেছে চার কোটি ১৯ লাখ ডলার।
বিডিবিএল, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক, বিদেশি খাতের ব্যাংক আল-ফালাহ্, হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি।
২০২২-২৩ অর্থবছরের তৃতীয় মাস সেপ্টেম্বরে ১৫৪ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এই অঙ্ক গত সাত মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। যদিও অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে দুই বিলিয়ন ডলারেরও বেশি পরিমাণের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। আগস্ট মাসে আসে ২০৩ কো?টি ৭৮ লাখ (২.০৩ বিলিয়ন) ডলার। আর জুলাইয়ে আসে ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলার।এখন বিদেশ থেকে যেকোনো পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠাতে কোনো ধরনের কাগজপত্র লাগে না। আবার প্রবাস আয়ের ওপর আড়াই শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার।