যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা পশ্চিমা মিত্রদের সঙ্গে একমত যে- রাশিয়াকে ইরানের বিস্ফোরক ড্রোন সরবরাহের বিষয়টি জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করেছে।
বিবিসি জানিয়েছে, গতকাল স্থানীয় সময় সোমবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ‘কামিকাজি’ ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। ওই ড্রোনগুলো দিয়ে রাশিয়া হামলা চালালেও পশ্চিমাদের বিশ্বাস, সেগুলো ইরানে তৈরি।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, ড্রোনগএলা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজ্যুলিউশন ২২৩১ লঙ্ঘন করেছে বলে ফরাসি এবং ব্রিটিশ মূল্যায়নের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র একমত।ইরানের পরমাণু চুক্তির সঙ্গে সম্পর্কিত ওই রেজ্যুলিউশনটির অধীনে ইরানের কিছু সামরিক প্রযুক্তি হস্তান্তর নিষিদ্ধ রয়েছে।
কিয়েভ ছাড়াও গতকাল সোমবার দেশটির আরও দুটি অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালায় রুশ বাহিনী। এতে দেশটির শত শত গ্রাম বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
ইউক্রেন কামিকাজি ড্রোন চিহ্নিত করেছে। এগুলো মনুষ্যবিহীন আকাশযান (ইউএভি); ইরানি শাহেদ-১৩৬ অস্ত্র হিসেবে এসব চিহ্নিত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আত্মঘাতী অভিযান চালানো জাপানি যোদ্ধা পাইলটদের নামানুসারে এগুলোকে কামিকাজে ড্রোন বলা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান উপ-মুখপাত্র বলেছেন, আমাদের ধারণা- এই ইউএভিগুলো ইরান থেকে রাশিয়ায় স্থানান্তরিত হয়েছিল এবং রাশিয়া ইউক্রেনে ব্যবহার করেছে সেগুলো। সেই অস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে এসব, যা ২২৩১ এর অধীনে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়ে।