ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় বসার মাত্র পাঁচ সপ্তাহ পার হয়েছে লিস ট্রাসের। এর মধ্যেই টালমাটাল অবস্থায় পড়েছেন তিনি। লড়ছেন গদি রক্ষার লড়াইয়ে। গুঞ্জন চাউর হচ্ছে ক্ষমতা হারাতে যাচ্ছেন লিজ।
দেশটির অনেক এমপিই মনে করছেন, লিজ ট্রাস বড়জোর এক সপ্তাহ ক্ষমতায় থাকতে পারেন। এমনকি শতাধিক এমপি তার বিরুদ্ধে অনাস্থা দিতে যাচ্ছেন। অর্থনৈতিক পরিকল্পনার যে প্রচারণা চালিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন তা থেকে পুরোপুরি উলটো পদক্ষেপ নেওয়ায় তার প্রধানমন্ত্রিত্ব এখন সংকটের মুখে।
লিজ ট্রাসের নিজ দল কনজারভেটিভ পার্টির ৮০ শতাংশের বেশি সদস্য মনে করছেন প্রধানমন্ত্রী খারাপভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। অন্যদিকে ৫৫ শতাংশ সদস্য লিজের পদত্যাগ চাচ্ছেন। ‘ইউগভ’-এর নতুন জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে। নতুন এই জরিপে বলা হয়েছে, লিজ ট্রাস গত দুই দশকের মধ্যে এখন দেশটির রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অজনপ্রিয়।
এর আগে প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির এমপিরা চলতি সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা করবেন, যা সামনের সাধারণ নির্বাচনকে ঘিরে পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে পারে। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের সময় এমপিদের ভোটে ট্রাস হেরেছিলেন।
নিজের দল কনজারভেটিভ পার্টির শতাধিক এমপি ট্রাসের প্রতি অনাস্থার চিঠি দলীয় কমিটির প্রধান গ্রাহাম ব্র্যাডির কাছে জমা দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন। দলীয়ভাবে অনাস্থা আনতে এমপিরা গ্রাহাম ব্র্যাডিকে তাগাদা দেবেন। তবে দলীয় প্রধান এই পদক্ষেপের পক্ষে নন বলে জানা গেছে।
তিনি তার যুক্তিতে বলেছেন যে ট্রাস নবনিযুক্ত অর্থমন্ত্রী জেরেমি হান্টের সঙ্গে আগামী ৩১ অক্টোবরের বাজেটে অর্থনৈতিক কৌশল নির্ধারণের সুযোগ পাওয়ার যোগ্য। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের মতে, সরকারের আসল চাবিকাঠি এখন ট্রাস নয়, অর্থমন্ত্রী জেরেমি হান্টের হাতে। একটি সমীক্ষাতেও ৬৪ শতাংশ ভোট পড়েছে ট্রাসের অপসারণের পক্ষে।
এদিকে নিজের ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন লিজ ট্রাস। লিজ ট্রাস বলেছেন, ‘আমি দায় স্বীকার করতে চাই এবং ভুলের জন্য দুঃখিত।’
সাক্ষাৎকারে ব্রিটেনের নতুন এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি কাজ করতে চেয়েছিলাম, করের সমস্যা মোকাবিলা এবং জ্বালানি বিল নিয়ে সাহায্য করতে, কিন্তু আমরা খুব বেশি এবং খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি। এই সময় তিনি স্বীকার করেছেন, তার এক মাসের সামান্য বেশি প্রিমিয়ারশিপ নিখুঁত ছিল না।’