হেলিকপ্টার পাইলট অনিল সিং এর শেষ কথা ছিল, ‘আমার মেয়ের যত্ন নিও। সে অসুস্থ।’ হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার একদিন আগে তিনি তার স্ত্রীকে এ কথা বলেন। প্রতিকূল আবহাওয়ায় উত্তরাখণ্ডের একটি পাহাড়ে ৬ জন তীর্থযাত্রীসহ হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ৫৭ বছর বয়সী অনিল সিং মেট্রোপলিসের আন্ধেরি শহরে একটি পশ হাউজিং সোসাইটিতে বসবাস করছিলেন। তিনি তার স্ত্রী শিরিন আনন্দিতা এবং কন্যা ফিরোজা সিংকে রেখে গেছেন।
শহর ভিত্তিক আরিয়ান এভিয়েশনের মাধ্যমে ছয় আসনের বেল-৪০৭ হেলিকপ্টারটি পরিচালিত হচ্ছিল। রুদ্রপ্রয়াগ জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আধিকারিক নন্দন সিং জানিয়েছেন, হেলিকপ্টারটি কেদারনাথ মন্দির থেকে তীর্থযাত্রীদের গুপ্তকাশীতে নিয়ে যাচ্ছিল। দৃশ্যমানতার দুর্বলতার কারণে গরুড় চট্টির দেবদর্শিনীতে স্থানীয় সময় সকাল ১১ টা ৪৫ মিনিটে এটি একটি পাহাড়ে বিধ্বস্ত হয়।
অনিন্দিতা জানান, তিনি ও তার মেয়ে তার স্বামীর শেষকৃত্য সম্পাদনের জন্য নয়াদিল্লি রওনা হবেন। অনিল সোমবার (১৭ অক্টোবর) শেষ ফোন করেছিল। তাদের মেয়ে অসুস্থ। সে তাকে তার মেয়ের যত্ন নিতে বলেছিলেন।
অনিন্দিতা অবশ্য জানান, তার কারো বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই কারণ দুর্ঘটনা একটি দুর্ঘটনা। তাছাড়া, পার্বত্য রাজ্যে সবসময় প্রতিকূল আবহাওয়া থাকে।
একজন সিনিয়র আধিকারিক জানিয়েছেন, এয়ারক্রাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (এএআইবি) এবং বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক ডিজিসিএর দলগুলো হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার তদন্ত করবে।