ইউক্রেনের চার অঞ্চল রাশিয়ার অধিভুক্ত করার পর সেখানে মার্শাল ল’ জারি করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ পরিস্থিতিতে যুদ্ধ পরিস্থিতির অবনতির কথা জানিয়ে ভারতীয় নাগরিকদের ইউক্রেন ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকার।
পুতিনের ঘোষণার মাধ্যমে কার্যত ওই চার অঞ্চলে সামরিক শাসন কায়েম হলো বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে ইউক্রেনের প্রায় ১৫ শতাংশ এলাকা রুশদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেল।
অবশ্য গণভোটের মাধ্যমে ইউক্রেনের ১৫ শতাংশ অঞ্চলকে রাশিয়ায় জুড়ে নেয়ার উদ্যোগকে মেনে নেয়নি পশ্চিমারা। জাতিসংঘে গত শুক্রবার ১৯৩ সদস্যের সাধারণ পরিষদে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আনা নিন্দাপ্রস্তাব সমর্থন করে ১৪৩টি দেশ। বিপক্ষে পড়েছে মাত্র ৫টি ভোট।
মস্কোর দাবি, ওই চারটি অঞ্চলেরই ৮০ শতাংশের বেশি অধিবাসী গণভোটে রাশিয়ার সঙ্গে থাকার পক্ষে মত দিয়েছেন। ২০১৪ সালে দক্ষিণ ইউক্রেনের ক্রিমিয়াতে একই কায়দায় গণভোট করিয়ে দখল নিয়েছিল রাশিয়া।
এ পরিস্থিতিতে স্থানীয় অধিবাসীদের স্বাধীনভাবে যাতায়াতের অধিকার ও বাকস্বাধীনতা খর্ব হওয়ার আশঙ্কা প্রবল। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা সতর্কবার্তাতেও ‘ইউক্রেনে যুদ্ধ পরিস্থিতির অবনতির’ আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, জাপোরোঝিয়া ও খেরসনে তথাকথিত গণভোটের আয়োজনের পরে চলতি মাসের শুরুর দিকে ওই চারটি অঞ্চলকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করার কথা ঘোষণা করেছিলেন পুতিন। ইউক্রেনের ভূমি দখলের রুশ তৎপরতার বিরুদ্ধে জাতিসংঘে আমেরিকাসহ পশ্চিমা দেশগুলো প্রস্তাব আনলেও ভারত সেই ভোটাভুটিতে অংশ নেয়নি।