কাতারের মাটিতে বিশ্ব ফুটবলের মহারণ বসতে বাকি আর মাত্র ২৯ দিন। এর মধ্যেই সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে কাতারের কর্তৃপক্ষ আর বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা।
‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’র মহারণে দলগুলো কাতারজুড়ে যে ৮টি স্টেডিয়ামে বিশ্ব শ্রেষ্টত্বের লড়াইয়ে নামবে প্রস্তুত হয়ে গেছে সেগুলোও। ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিশ্বকাপের স্টেডিয়ামগুলো তৈরিতেই খরচ হয়েছে সিংহভাগ অর্থ।
তৈরি কাতার, তৈরি স্টেডিয়াম, ৩২টি দলও নিজেদের গুছিয়ে নেওয়ার শেষ সময়ের কাজে ব্যস্ত। অপেক্ষা শুধু বিশ্বকাপের স্টেডিয়ামের সবুজ ঘাসে বল পায়ে কিক-অফের। তার আগে চলুন জেনে নেওয়া যাক ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিশ্বকাপের স্টেডিয়ামগুলো সম্পর্কে।
কাতার বিশ্বকাপের ৮ স্টেডিয়াম নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদনের আজ প্রথম পর্বে থাকছে আল থুমামা স্টেডিয়াম নিয়ে বিস্তারিত।
আল-থুমামা স্টেডিয়াম, দোহা:
কাতারের রাজধানী দোহার হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাশেই অবস্থিত ৪০ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতার এই স্টেডিয়াম। দোহা থেকে ১২ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থিত স্টেডিয়ামটি নির্মিত হয়েছে গাহফিয়ার আদলে। মধ্যপ্রাচ্য বা আরব দেশের পুরুষরা নিজেদের ঐতিহ্য ধরে রাখতে এক ধরণের বিশেষ টুপি পরে, সেটিকেই বলা গাহফিয়া।
আল-থুমামা স্টেডিয়ামে গ্রুপ পর্বের ৬টি ম্যাচসহ একটি কোয়ার্টার ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্বকাপের জন্য স্টেডিয়ামটির ধারণক্ষমতা ৪০ হাজার করা হলেও বিশ্বকাপের আসর শেষে ব্যয় সংকোচনের জন্য ধারণক্ষমতা নামিয়ে আনা হবে ২০ হাজারে।
গাহফিয়ার ডিজাইন ছাড়াও স্টেডিয়ামের আশেপাশের এলাকায় পরিবেশগত এবং প্রাসঙ্গিক স্থাপত্যের গুরুত্ব অন্বেষণ করতেই বিশেষ ধরণের নকশা করা হয়েছে।
স্টেডিয়ামের আশেপাশের সেচের জন্য পুনর্ব্যবহৃত জল ব্যবহার করে অন্যান্য স্টেডিয়ামের তুলনায় ৪০ ভাগ বেশি বিশুদ্ধ জল সংরক্ষণও নিশ্চিত করা হয়েছে৷
স্টেডিয়ামটির আশপাশ জুড়ে ৫০,০০০ বর্গমিটারের একটি পার্কও তৈরি করা হয়েছে, যার ৮৪ ভাগই সাজানো হয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ দিয়ে।