রাশিয়ার দখল করা ইউক্রেনের খেরসন থেকে নাগরিকদের অবিলম্বে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে মস্কোর নিয়োগপ্রাপ্ত প্রশাসন। শহরটি পুনরুদ্ধারে ইউক্রেনীয় সেনারা জোরালো হামলা শুরু করেছে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (২২ অক্টোবর) রুশ কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, সামনে আরো উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়তে পারে খেরসনে। ইউক্রেনীয় বাহিনী খেরসনের শহরসহ অঞ্চলটিতে ‘সন্ত্রাসী হামলা’র পরিকল্পনা করছে। এ অবস্থায় বেসামরিক নাগরিকদের রুশ নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের আরো ভেতরের দিকে চলে যেতে দিনিপ্রো নদী দিয়ে পারাপারে নৌকা ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছে রুশ কর্তৃপক্ষ।
খেরসন পুনরুদ্ধারে গত মাস থেকে রুশ সামরিক বাহিনীর স্থপনায় পাল্টা হামলা থেকে শুরু করেছে কিয়েভ। ধীরে ধীরে অঞ্চলটির ভেতরে প্রবেশ করছে ইউক্রেনীয় সেনারা। ইতোমধ্যে বেশ কিছু এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে বলে দাবি ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর।
এদিকে খেরসন থেকে ৬০ হাজার মানুষকে পর্যায়ক্রমে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল ক্রেমলিন সমর্থিত নেতা ভ্লাদিমির সালদো। সম্প্রতি তিনি বলেন, বেসামরিকদের নদী দিয়ে সরিয়ে নেওয়া হবে। তবে আরেক রুশ কর্মকর্তা কিরিল স্ট্রিমাসভ বলেন, খেরসন থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ২৫ হাজার লোককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তার দাবি, তারা স্বেচ্ছায় চলে গেছে।
ইনস্টাগ্রামে তিনি আরো বলেন, এখানকার যারা চলে গেছে, সবাই নিজেদের ইচ্ছাতেই গেছে। কেউকে জোর করে পাঠানো হয়নি। তবে কিছু মানুষ ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী শহরটি পুনরুদ্ধার করতে পারে সেজন্য অপেক্ষায় থাকতে পারেন।
তবে রুশ কর্তৃপক্ষের এমন ব্যাখ্যা মানতে নারাজ পশ্চিমা দেশগুলো। খেরসন থেকে বাসিন্দাদের জোরপূর্বক সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তুলে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পশ্চিমা নেতারা। তাদের মতে, মস্কো জোর করে বাসিন্দাদের রাশিয়া অথবা তাদের অন্য কোনো অধিকৃত অঞ্চলে স্থানান্তর করছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের শুরুর দিকে খেরসন দখলে নেয় রাশিয়ান সেনারা। আর গত মাসে ডিক্রি জারি করে অঞ্চলটিকে মস্কোর সঙ্গে অন্তর্ভুক্তির ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। খেরসনে ইউক্রেনীয় যোদ্ধাদের জোরালো অগ্রগতির মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার সামরিক আইন জারি করেন তিনি।