বিলিয়ন ডলারে মূল্যের চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) ছাড়াও, আগামী নভেম্বরে তিনটি নতুন করিডোর চালু করতে চলেছে পাকিস্তান-চীন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশ দুইটি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার লক্ষ্যে নতুন এই উদ্যোগ নিয়েছে।
আগামী মাসে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের চীন সফরের সময় নতুন প্রকল্প তিনটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হতে পারে।, প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আমন্ত্রণে শেহবাজ শরিফ দেশটিতে সফরে যাবেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এই প্রকল্পগুলির মধ্যে স্বাস্থ্য এবং ডিজিটাল করিডোরও রয়েছে। চীনে নিযুক্ত পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত মইনুল হক চায়না ইকোনমিক নেট (সিইএন) এর সঙ্গে কথা বলার সময় এ ঘোষণা দিয়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন, সফ্টওয়্যার উন্নয়নের ক্ষেত্রে পাকিস্তান চীনের সহযোগিতার গুরুত্বপূর্ণ একটি উৎস হবে। তাই বিভিন্ন আইটি ক্ষেত্রে সফ্টওয়্যার তৈরির জন্য পাকিস্তানে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনে একসঙ্গে কাজ করছি আমরা।
সিপিইসি প্রকল্প হল চীন ও পাকিস্তান এর মধ্যে গড়ে ওঠা এক বিশেষ অর্থনৈতিক করিডোর। করিডোরটি চীনের প্রস্তাবিত ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড নীতির অন্তর্গত এবং এটি চীনের অর্থ সহায়তায় গড়ে তোলা । ২০১৫ সালে চালু করা এ উন্নয়ন প্রকল্প চীনের জিনজিয়াং উইঘুর অঞ্চলের সড়ক, রেলপথ এবং জ্বালানি প্রকল্পগুলির সঙ্গে আরব সাগরে অবস্থিত পাকিস্তানের গোয়াদর বন্দরেকে সংযুক্ত করেছে।
তবে এই বছরের শুরুর দিকে আফগানিস্তানে চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরের প্রস্তাবিত সম্প্রসারণের বিরোধিতা করে ভারত।