ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খান ও চিত্রনায়িকা শবনম বুবলীর বৈবাহিক সম্পর্ক অটুট আছে নাকি বিবাহবিচ্ছেদ ঘটেছে- এমন প্রশ্ন বুবলী তাদের সন্তান নিয়ে আত্মপ্রকাশের পর থেকে সাধারণ মানুষের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে। অথচ এই দুজনের কেউই খোলাসা করে বিষয়টি বলছেন না।
যদিও গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বুবলী বলছেন, বিচ্ছেদের খবর নেহাতই গুজব এবং শাকিবকে নিয়ে তিনি সুখে সংসার করতে চান। কিন্তু শাকিব এ নিয়ে সম্প্রতি সরাসরি কিছু না বললেও পরোক্ষভাবে বলেন, ‘আমাদের মধ্যে কোনো সম্পর্ক আছে কি নেই সেটা যারা সবকিছু দেখেও না দেখার এবং বুঝেও না বোঝার ভাণ করে আমি সময়মতো তা সবাইকে বুঝিয়ে দেব?’ এমন পরোক্ষ জবাব দিয়ে বিষয়টি নিয়ে রহস্য না করে সরাসরি জবাব চাইলে শাকিব বলেন, দেখেন, অনেক সত্য চাইলেই বাচ্চাটার (পুত্র শেহজাদ খান বীর) স্বার্থে প্রকাশ করতে পারি না। কারণ বীর বড় হচ্ছে, আমি চাই না, আগামীতে তার মনে এ নিয়ে কোনো বাজে প্রতিক্রিয়া তৈরি হোক।
শাকিব খান কথোপকথনের একপর্যায়ে বলেন, আমি আমার জীবনের সবচেয়ে বড় শিক্ষা পেয়েছি দুটি সময়। প্রথমত. করেনাকালে যখন একাকী ছিলাম, দ্বিতীয়ত. আবারও যখন নিঃসঙ্গভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেছি তখন। আমি সেই দিনগুলোতে একাকী থাকায় নিজের জীবনের ফেলে আসা দিনগুলো নিয়ে হিসাব করার অফুরন্ত সময় পেয়েছিলাম। তখন নিজের পেছনের জীবনের হিসাবনিকাশ করতে গিয়ে দেখলাম, না বুঝে অনেক ভুল করে ফেলেছি।
তিনি বলেন, বেশির ভাগ ভুল করেছি ভুল মানুষের সঙ্গে মিশে। মনে হচ্ছে সেই ভুলেরই খেসারত দিচ্ছি এখন। তাই জীবনের বাকি দিনগুলোতে আর কোনো ভুল মানুষের সঙ্গে মিশতে চাই না। আর কোনো ভুল করতে চাই না। ভুল করে মেশা সেই বাজে মানুষগুলোকে আর পাশে রাখতে চাই না। এখন থেকে শুধুই পজিটিভ ওয়েতে চলব।
শাকিব বলেন, সৃষ্টিকর্তা আমাকে এমন উচ্চাসনে উপবিষ্ট করার এবং আমার দর্শক-ভক্তরা আমাকে আকাশসমান ভালোবাসা দেওয়ার পরও আমি কেন ভুল পথে চলে আজ আমার কর্ম ও ব্যক্তিজীবন নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছি। এটিই এখন আমার জীবনের সবচেয়ে বড় অনুশোচনা।
শাকিব কথা বলতে বলতে একপর্যায়ে ভীষণ আবেগতাড়িত হয়ে ওঠলেও একসময় চোখের কোণে জমে ওঠা চিকচিকে অশ্রুবিন্দু মুছে নিয়ে আত্মপ্রত্যয়ী হয়ে বলে ওঠেন, অনেক অপ্রাপ্তির মাঝেও আমার জীবনের বড় প্রাপ্তি হলো আমার দুই প্রাণপ্রিয় সন্তান আবরাহম খান জয় ও শেহজাদ খান বীর। আমি আমার এ দুই আদরের সন্তান ও যেসব মানুষ, যারা আসলেই আমাকে মনেপ্রাণে ভালোবাসে, পছন্দ করে, তাদের নিয়েই আগামীর পথে এগোতে চাই।