জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে উদ্দীপ্ত বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা গতকাল অ্যাডিলেডে পৌঁছেছেন। গতকাল সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টায় টাইগারদের নিয়ে একটি ফ্লাইট ব্রিজবেন বিমানবন্দর ছেড়ে অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিমাঞ্চলের শহর অ্যাডিলেডের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। এখানে ২ ও ৬ নভেম্বর যথাক্রমে ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবে তারা। দুটি ম্যাচেই বাংলাদেশ জেতার জন্য খেলবে বলে আশাবাদী দলের অন্যতম উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান শান্ত। তার আশাবাদী হওয়ার কারণও রয়েছে। ২০১৫ সালে ওডিআই বিশ্বকাপে এই মাঠেই ইংল্যান্ডকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। একই বিশ্বকাপে ভারতের সঙ্গে প্রায় জেতা ম্যাচ হেরে গিয়ে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হয়েছিলেন টাইগাররা।
চলতি বিশ্বকাপে ইতোমধ্যে তিন ম্যাচ খেলে দুই জয়ে ৪ পয়েন্ট পেয়ে সেমিফাইনালের রেসে টিকে রয়েছেন টাইগাররা। শেষ চারের টিকিট নিশ্চিত করতে হলে জয়ের বিকল্প নেই। একটি হারলেও সম্ভাবনা অবশ্য টিকে থাকবে। তবে তখন তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য দলের বিপক্ষেও।
অন্যদিকে, সেমিফাইনালে উঠতে হলে ভারত ও পাকিস্তানকে অবশ্যই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জয় পেতে হবে। উপমহাদেশের এ দুই পরাশক্তি ইতিমধ্যে একটি করে ম্যাচ হেরে কিছুটা ব্যাকফুটে রয়েছে। পাকিস্তান হেরেছে জিম্বাবুয়ের কাছে। আর ভারত দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে। এই গ্রুপে ৫ পয়েন্ট নিয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
শেষ কয়েক বছরে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ মানেই উত্তেজনায় ঠাঁসা। বিশেষ করে ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর থেকেই। সেবার মেলবোর্নে কোয়ার্টার ফাইনালে ১০৯ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছিল টাইগাররা। কিন্তু কয়েক মাস পরই ঘরের মাঠে ২-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। ২০১৬ সালে এশিয়া কাপ টি-২০তে রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে হেরে যায় বাংলাদেশ। ২০১৮ সালে ওয়ানডে এশিয়া কাপ ফাইনালে একই পরিণতি। ২০১৫ সালের সেই হার ভুলে অস্ট্রেলিয়া এবার ভারতের বিপক্ষে বিজয়গাঁথা কি লিখতে পারবেন টাইগাররা। পারবে কি সেমির আশা উজ্জ্বল করতে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয়ের অন্যতম নায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত অবশ্য অতদূর ভাবছেন না। তিনি বলেন, ‘ম্যাচ জিতলে তো আত্মবিশ্বাস বাড়েই। দলের পরিবেশও আগে থেকেই ভালো। (সেমি-ফাইনাল নিয়ে) আসলে চিন্তা করছি না। আমরা ‘ম্যাচ বাই ম্যাচ’ যেতে চাই। ঐটাই চিন্তা আছে যে পরের ম্যাচ আমরা কতটা ভালো খেলতে পারি।’
এদিকে আগামীকাল ম্যাচের দিন বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে অ্যাডিলেডে।