ভারতের সঙ্গে ১১টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচের ১০টিতেই হেরেছে বাংলাদেশ। একমাত্র জয়টি এসেছে তিন বছর আগে দিল্লিতে। মুশফিকুর রহিমের হাফ সেঞ্চুরিতে ৭ উইকেটের জয় পেয়েছিলেন টাইগাররা। তা বাদে রেকর্ডবুকে আশার চেয়ে হতাশার ছড়াছড়ি বেশি। তবু বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ নিয়ে উত্তেজনার কমতি থাকে না এদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের। আজ তেমনই এক শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচের অপেক্ষায় অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড ওভাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামের দিকে তাকিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। এই মাঠে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় সাকিব বাহিনীর মুখোমুখি হবে রোহিত শর্মার দল। চলতি টুর্নামেন্টে দুই দলেরই এটি চতুর্থ ম্যাচ। আজকের বিজয়ীরা সেমিফাইনালের রেসে এগিয়ে থাকবে।
স্বচ্ছ জলধারার টোরেন্স নদীর তীরে অ্যাডিলেড ওভাল ক্রিকেট স্টেডিয়াম। ৫০ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার এই মাঠ ৮০টি টেস্ট, ৮৫টি ওডিআইয়ের সাক্ষী। কিন্তু এখানে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হয়েছে সাকুল্যে ৫টি। ৭ বছর আগে ২০১৫ ওডিআই বিশ্বকাপে এই মাঠে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ঐ ম্যাচে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ব্যাট থেকে সেঞ্চুরি এসেছিল। মুশফিক করেছিলেন ৮৯ রান। পেসার রুবেল ৫৩ রান খরচ করে ৪ ইংলিশ ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরত পাঠিয়েছিলেন। এবারও কি অ্যাডিলেডে ভারতের বিপক্ষে রূপকথা লিখতে পারবে বাংলাদেশ?
আজকের ম্যাচের ভাগ্য নিয়ে খুব বেশি উচ্চাশা নেই বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের। তবে তিনি এমন এক ম্যাচ আশা করছেন যেখানে লড়াই হবে ‘সেয়ানে সেয়ানে’। কাল মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার সময় রোহিত শর্মার দলকে নিজেদের চেয়ে ওপরে রেখে অধিনায়ক বলেন, বাংলাদেশ যদি জিতেই যায় তাহলে সেটা হবে এই টুর্নামেন্টের আরেকটি ‘অঘটন’। ভারতের প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড় অবশ্য বাংলাদেশের পক্ষে খানিকটা সাফাই গেয়েছেন। বলেছেন, বাংলাদেশ অনেক ভালো দল।
এবারের বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভ পর্বে বি গ্রুপে প্রতিটি দলই তিনটি করে ম্যাচ শেষ করেছে। এদের মধ্যে নেদারল্যান্ডস ছাড়া বাকিরা সেমিফাইনালের রেসে টিকে আছে এখনো। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে জয় দিয়ে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করেছিল বাংলাদেশ। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে বড় ব্যবধানে হেরে আত্মবিশ্বাস টলোমলো হয়ে গেলেও পরের ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ক্লোজ ম্যাচ জিতে আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। দুই ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে এখন সেমিফাইনালের স্বপ্ন দেখছে তারা। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে বড় ব্যবধানে হারায় নেট রান রেটে নাজুক অবস্থানে। সেমিতে যেতে হলে পরের দুই ম্যাচে ভারত ও পাকিস্তানকে হারাতে হবে। সেক্ষেত্রে নেট রান রেট যেমনই হোক না কেন ৫ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত হবে টাইগারদের। আর দুই ম্যাচের মধ্যে একটি হারলে তাকিয়ে থাকতে হবে গ্রুপের অন্য ম্যাচগুলোর দিকে। ৫ পয়েন্ট নিয়ে এই গ্রুপে শীর্ষে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। চার পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে ভারত।