বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে জয়ের বিকল্প ছিলো না জিম্বাবুয়ের সামনে। তবে নেদারল্যান্ডের বিরুদ্ধে আগে ব্যাটিং করে মাত্র ১১৭ রানেই থেকে গেলো জিম্বাবুয়ের ইনিংস।
অ্যাডিলেড ওভালে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন। ব্যাটিংয়ে নেমে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি জিম্বাবুয়ের ব্যাটাররা। ডাচ বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে চার বল বাকি থাকতেই ১১৭ রানে অলআউট হয়ে যায় জিম্বাবুয়ে।
ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার ওয়েসলি মাধভিরেকে হারিয়ে প্রথম ধাক্কা খায় জিম্বাবুয়ে। ৫ বলে ১ রান করেই ডাচ পেসার অল ভ্যান মেকেরেনের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন জিম্বাবুইয়ান ওপেনার। চতুর্থ ওভারে এসে ফিরে যান অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন।
পাওয়ার প্লে’র শেষ বলে জিম্বাবুয়েকে আরও বিপদে ফেলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন রেজিস চাকাভা। জিম্বাবুয়ের রান তখন মাত্র ২০। পাওয়ার প্লে’তেই ৩ উইকেট হারিয়ে ততক্ষণে ধুঁকছে জিম্বাবুয়ে।
সেখা থেকে দলকে টেনে তলার চেষ্টা করেছেন শন উইলিয়ামস আর সিকান্দার রাজা। দুজন মিলে পরতের ৩৫ বলে গড়েছেন ৪৮ রানের জুটি। ১২তম ওভারে এসে ২৩ বলে ২৫ রান করা উইলিয়ামসকে ফেরান পল ভ্যান মেকেরেন। পরের ওভারে মাত্র ২ রান করেই ফিরে যান মিল্টন শুম্বা।
সঙ্গী হারালেও ডাচ বোলারদের ওপর ছড়ি ঘোরানো অব্যাহতই রেখেছিলেন রাজা। ব্রায়ন্ডন গ্লোভারের ১৪তম ওভার থেকে ১ ছক্কা ১ চারে নেন ১৪ রান। তবে জিম্বাবুয়ে সবচেয়ে ভবড় ধাক্কাটা খেয়চ্ছে ১৫তম ওভারে রাজা আউট হয়ে গেলে। বাস ডি লিডের বলে লং অনে ফ্রেড ক্লাসেন নিয়েছেন ৩ চার আর ৩ ছক্কায় ২৪ বলে ৪০ রান করা রাজার ক্যাচ। জিম্বাবুয়ের রান তখন ৬ উইকেটে ৯২।
এরপর ২৫ রান তুলতেই নিয়মিত বিরতিতে বাকি ৪ উইকেট হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে। ইনিংসের চার বল বাকি থাকতেই ১১৭ রানে অলআউট হয়েছে জিম্বাবুয়ে।
নেদারল্যান্ডের হয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন পল ভ্যান মেকেরেন। আর লোগান ভ্যান বিক, ব্র্যান্ডন গ্লোভার ও বাস ডি লিড সবাই নিয়েছে ২ উইকেট করে।