টি-২০ বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বাংলাদেশকে ১৮৫ রানের টার্গেট দিয়েছে ভারত। আজ অ্যাডিলেড ওভালে ভারতের বিপক্ষে টস জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেন সাকিব আল হাসান।
বল করতে নেমে প্রথম ওভারে মাত্র ১ রান দেয় বাংলাদেশ। টাইগারদের পক্ষে বোলিংয়ের সূচনা করেন পেসার তাসকিন আহমেদ। ওভারের প্রথম চারটি ডট বল করেন। পঞ্চম বলে ১ রান নেন লোকেশ রাহুল। ওভারের শেষ বলটিও ডট করেন তাসকিন।
দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে আসেন একাদশে সুযোগ পাওয়া শরিফুল ইসলাম। দ্বিতীয় ওভারের এক নো বল ও এক ছক্কায় দেন ৯ রান। ওভারের পঞ্চম বলে ডিপ স্কয়ার লেগে ছক্কা হাঁকান লোকেশ রাহুল।
এরপর ইনিংসের তৃতীয় ওভারে আবারও বোলিংয়ে আসেন তাসকিন। ওভারের চতুর্থ বলে স্কয়ার লেগে ক্যাচ দেন রোহিত শর্মা। কিন্তু রোহিতের ক্যাচ ছেড়ে দেন হাসান মাহমুদ। এই ওভারেও মাত্র ১ রান দেন তাসকিন।
ইনিংসের চতুর্থ ওভারে বোলিংয়ে এসে মাপ মোচন করেন হাসান মাহমুদ। ওভারের প্রথম বলে রোহিতকে আউট করেন তিনি। হাসান মাহমুদের বলে পয়েন্টে দাঁড়িয়ে থাকা ইয়াসিরের হাতে ধরা পড়েন রোহিত। এরপর ওভারের চতুর্থ বলে চার ও পঞ্চম বলে ছয় মারেন লোকেশ রাহুল।
হাসানের পর আবারও তাসকিনকে বোলিংয়ে আনেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ওভারের প্রথম দুই বলে দুটি চার মারেন ওয়ান ডাউনে নামা বিরাট কোহলি। এরপরের বলগুলো ডট করেন তাসকিন। ৫ ওভার শেষে ১ উইকেট হারিয়ে ৩০ রান সংগ্রহ করে ভারত। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারের বোলিংয়ে আসেন মোস্তাফিজুর রহমান। ওভারে প্রথম চার বল থেকে ৩ রান দেন মোস্তাফিজ। এরপর পঞ্চম বলে কোহলির ব্যাটের কানায় লেগে চার হয়। শেষ পর্যন্ত ৬ ওভার শেষে ১ উইকেট হারিয়ে ৩৭ রান সংগ্রহ করে ভারত।
ইনিংসের সপ্তম ওভারের নিজের শেষ ওভার করতে আসেন তাসকিন। এই ওভারে মাত্র ৫ রান দেন তিনি। চার ওভার বল করে ১৫ রান দেন তাসকিন। এরপর অষ্টম ওভারের বোলিংয়ে আসেন অধিনায়ক সাকিব। প্রথম তিন বল থেকে চার রান দেন তিনি। এরপর চতুর্থ বলে সাকিবকে চার মারেন রাহুল। এই ওভারের ১০ রান দেন সাকিব।
সাকিবের পর ফের বোলিংয়ে আসেন শরিফুল। প্রথম বলেই তাকে চার মারেন কোহলি। এরপর এক রান নেন কোহলি। তৃতীয় বলে করা নো বলে শরিফুলকে ছক্কা মারেন রাহুল। পরের বল ওয়াইড দেন তিনি। এরপরের বলে ফের ছক্কা মারেন রাহুল। ছক্কার পর ওভারের পঞ্চম বলে চার মারেন রাহুল। এই ওভারের ২৩ রান দেন শরিফুল।
ইনিংসের দশম ওভারে সাকিবের প্রথম বলে ২ রান নিয়ে ৩১ বলে ফিফটি করেন লোকেশ রাহুল। ফিফটি করার পরের বলেই শর্ট ফাইন লেগে মুস্তাফিজের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন রাহুল। এই ওভারের শেষ বলে ৪ মারেন ক্রিজে আসা সূর্যকুমার যাদব। এই ওভারে ১০ রান দেন সাকিব। ১০ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ভারতের সংগ্রহ ৮৬ রান।
ইনিংসের ১২ তম ওভারের সাকিবের বলে ক্যাচ তোলেন সূর্যকুমার। কিন্তু ক্যাচ ছেড়ে দিয়ে সূর্যকে জীবন দেন মুস্তাফিজ। এই ওভারের ৯ রান দেন সাকিব। ইনিংসের ১৩ তম ওভারের ফের বোলিংয়ে আসেন হাসান মাহমুদ। ওভারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে পর পর চার মারেন সূর্যকুমার। এরপর ওভারের শেষ বলেও চার মারেন তিনি। এই ওভারের তিন চারে ১৪ রান তুলে নেন ভারতের দুই ব্যাটার।
ইনিংসের ১৪ তম ওভারের নিজের শেষ ওভার করতে আসেন সাকিব। এসেই ওভারের তৃতীয় বলে সূর্যকুমারকে বোল্ড করেন সাকিব। দলীয় ১১৬ রানে ১৬ বলে ৩০ রান করে আউট হন সূর্যকুমার। সূর্যের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন হার্দিক পান্ডিয়া। এই ওভারে চার রান দেন সাকিব। চার ওভার বল করে ৩৩ রান খরচায় ২ উইকেট নেন সাকিব।
সাকিবের পর বোলিংয়ে আসেন মোস্তাফিজ। এই ওভারের শেষ দুই বলে পর পর দুটি চার মারেন কোহলি। এই ওভারে মোট ১১ রান দেন মোস্তাফিজ। মোস্তাফিজের পর বোলিংয়ে এসে হার্দিককে আউট করেন হাসান মাহমুদ। দলীয় ১৩০ রানে ৬ বলে ৫ রান করে পয়েন্টে দাঁড়িয়ে থাকা ইয়াসিরকে ক্যাচ দেন তিনি। এই ওভারের ৯ রান দেন হাসান। ১৬ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৪০ রান সংগ্রহ করে ভারত।
এরপর ইনিংসের ১৭ তম ওভারে ফের বোলিংয়ে আসেন শরিফুল। ওভারের প্রথম বলেই চার মারেন ক্রিজে আসা দিনেশ কার্তিক। এই ওভারের পঞ্চম বলে ২ রান নিয়ে ৩৭ বলে নিজের অর্ধশতক তুলে নেন বিরাট কোহলি। এই নিয়ে এই বিশ্বকাপে নিজের তৃতীয় ফিফটির দেখা পান কোহলি। ওভারের শেষ বলে রান আউটে কাঁটা পড়েন দিনেশ কার্তিক। দলীয় ১৫০ রানে ৫ বলে ৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন কার্তিক।
ইনিংসের ১৮ তম ওভারে নিজের শেষ ওভার করতে আসেন মোস্তাফিজ। তার প্রথম বলেই চার মারেন ক্রিজে আসা অক্ষর প্যাটেল। এই ওভারে ৭ রান দেন মোস্তাফিজ। চার ওভারে ৩১ রান দেন তিনি। ১৯ তম ওভারের বল করতে এসে প্রথম বলেই অক্ষর প্যাটেলকে আউট করেন হাসান মাহমুদ। প্যাটেলকে নিজের তৃতীয় শিকার বানান তিনি। হাসানের স্লোয়ারে বড় শট খেলতে গিয়ে সাকিবের হাতে ধরা পড়েন প্যাটেল। ওভারের শেষ দুই বলে একটি চার ও একটি ছয় মারেন। চার ওভারে ৪৭ রান খরচায় নেন ৩ উইকেট নেন হাসান মাহমুদ।
ইনিংসের শেষ ওভারে বল করতে আসেন শরিফুল ইসলাম। ওভারের দ্বিতীয় বলে ছক্কা মারেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। পরের বলে আবার চার মারেন তিনি। শেষ ওভারে ১৪ রান দেন শরিফুল। ৪ ওভারে ৫৭ রান দেন তিনি। বিরাট কোহলি ৪৪ বলে ৬৪ ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন ৬ বলে ১৩ রান করে অপরাজিত থাকেন।