বাংলাদেশ-ভারতের র অধ্যায় ছিল দুটি। একটা বৃষ্টির আগে, অন্যটা বৃষ্টির পরে। বৃষ্টির আগে লিটন দাসের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে জয়ের সুবাস পাচ্ছিল বাংলাদেশ; কিন্তু ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ওভার কমে যাওয়ায় পরের চাপটা আর নিতে পারেনি সাকিব আল হাসানের দল। তার পরও বাংলাদেশকে প্রশংসায় ভাসালেন পাকিস্তানি সাবেক ক্রিকেটার শোয়েব আখতার ও ভারতীয় সাবেক ক্রিকেটার বীরেন্দর শেবাগ।
শোয়েব আখতার টুইটে লেখেন, ‘কী দুর্দান্ত পারফরম্যান্স বাংলাদেশের! ওরা অসাধারণ, মুগ্ধ করা ক্রিকেট খেলেছে। বৃষ্টি ওদের ম্যাচে থাকার মুহূর্তটাই ভেস্তে দিয়েছে। অসাধারণ প্রত্যাবর্তন ভারতের। ’
বীরেন্দর শেবাগও প্রশংসা করেছেন বাংলাদেশ দলের। তিনি টুইটার হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘বৃষ্টিতে ম্যাচ বন্ধের সময় এটা অবশ্যই বাংলাদেশের ম্যাচ ছিল। ভারতের বোলাররা দারুণ লড়াই করেছে। ফিল্ডিং ছিল বিশেষ কিছু। দুর্দান্ত জয়ের জন্য ভারতকে অনেক অভিনন্দন। ’
আজ অ্যাডিলেডে ভারতের দেওয়া ১৮৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ব্যাট হাতে দারুণ শুরু করে বাংলাদেশ। ৭ ওভারে বিনা উইকেটে ৬৬ রান তোলেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্ত। লিটন ২৬ বলে ৫৯ ও শান্ত ১৬ বলে ৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। সপ্তম ওভার শেষেই নামে বৃষ্টি।
ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে বাংলাদেশ এগিয়ে ছিল ১৭ রানে।
বৃষ্টির পর যখন খেলা শুরু হয় তখন বাংলাদেশের সামনে নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৬ ওভারে ১৫১। এর পরই বদলে যায় ম্যাচের চিত্র। শান্তর সঙ্গে ভুল-বোঝাবুঝিতে রান আউট হন ২৭ বলে ৬০ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলা লিটন। তার বিদায়ের পর ধস নামে বাংলাদেশের ইনিংসে। শান্ত ফেরেন ২৫ বলে ২১ রান করে। সুবিধা করতে পারেননি সাকিব (১৩), আফিফ (৩), ইয়াসির আলী রাব্বি (১), মোসাদ্দেক হোসেনরা (৬)। শেষ দিকে নুরুল হাসান সোহান ও তাসকিন আহমেদের ঝড়ে ১৬ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৫ রান করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।
শেষ ওভারে ২০ রান দরকার ছিল বাংলাদেশের, সোহানের কল্যাণে ১৪ রান তুললেও ম্যাচটি হেরে যায় ৫ রানে। সোহান ১৪ বলে ২৫ ও তাসকিন ৭ বলে ১২ রানে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে বিরাট কোহলির অপরাজিত ৬৪, লোকেশ রাহুলের ৫০ ও সূর্য কুমারের ৩০ রানের ওপর ভর করে ১৮৪ রানের স্কোর পায় ভারত। ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে কোহলির হাতে। আগামী রবিবার পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ।