‘নাজুক’ পাকিস্তানের ভঙ্গুর আত্মবিশ্বাসে আঘাত হানতে চায় দক্ষিণ আফ্রিকার ডেভিড মিলার। নিজেদের মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়েই সেমিফাইনালে যেতে চায় প্রোটিয়ারা।
সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামবে দক্ষিণ আফ্রিকা।
ভয়ঙ্কর পেস আক্রমণ আর ফর্মে থাকা ব্যাটিং লাইনআপ নিয়ে এবারের বিশ্বকাপে নিজেদের ‘ডার্ক হর্স’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। টুর্নামেন্টে গ্রুপ ২ থেকে নিজেদের তিন ম্যাচের দু’টিতেই জিতেছে প্রোটিয়ারা। ভারত ও বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় আর একটি ম্যাচ ভেসে গেছে বৃষ্টিতে।
এদিকে প্রোটিয়াদের কাছে হেরে গেলে পয়েন্ট তালিকার পঞ্চম স্থানে থাকা পাকিস্তান বিদায় নিবে বিশ্বকাপ থেকে।
আগের তিন ম্যাচে সম্পূর্নভাবে ব্যর্থ হয়েছে বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ওপেনিং জুটি ফর্ম ফিরে পাওয়ার তীব্র চাপের মধ্যে রয়েছেন । প্রোটিয়া মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান মিলার বলেন, ‘আমার মতে তাদের (পাকিস্তানকে) চেপে ধরার এটিই ভালো সুযোগ। এই খেলাটি আত্মবিশ্বাসের এবং আমার মনে হয় তারা যেভাবে চেয়েছিল সম্ভবত সেভাবে পারফর্ম করতে পারেনি। তবে আমার মনে হয় তাদের বিশ্বমানের খেলোয়াড়রা সেখান থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করবে এবং ম্যাচটি চ্যালেঞ্জিং করে তুলবে।’
এদিকে প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে যন্ত্রণাদায়ক পারজয় নিয়ে পাকিস্তান শিবিরে এখনও আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন দলটির পেসার নাসিম শাহ। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দলটির কাছে শেষ বলের নাটকীয়তায় হেরেছিলো তারা। পরের ম্যাচে জিম্বাবুয়ের কাছেও শেষ বলের নাটকীয়তায় হেরেছিলো পাকিস্তান।
তৃতীয় ম্যাচে অবশ্য নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে ঘুরে দাঁড়ায় উপমাহাদেশের দলটি। ভারতের কাছে হেরে যাওয়ার ঘটনা থেকে পাকিস্তান এখনো বেরিয়ে আসতে পেরেছে কিনা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নাসিম বলেন, ‘না, আমি তেমনটা মনে করিনা, কারণ দলের সবাই পেশাদার এবং সবাই নিজেদের সম্পর্কে জানে। আমরা ভারতের কাছে হেরেছি, তবে আমি মনে করিনা সবাই এটি নিয়ে খুব বেশি ভাবছে। কারণ পেশাদাররা কখনো অতীতের পরাজয় নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামায় না।’
ভারতের বিপক্ষে চাপে পড়ার পরও ৫ উইকেটের জয়ের ম্যাচটিতে হাফ সেঞ্চুরি করে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছিলেন মিলার।
পাকিস্তান ম্যাচ সামনে রেখে মিলার বলেন, ‘আমরা জয়ের অনেক পথ খুঁজে পাচ্ছি বলে মনে করি। সুনির্দিষ্ট একটি সময়ের মধ্যে এটি করেছি। আমি বলতে চাই, গত বছর আমাদেরকে কঠিন পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হয়েছে। তবে এবার সেটি অতিক্রম করতে পেরেছি। আমার মনে হয় সময় যতই গড়াচ্ছে দলের মধ্যে ধারাবাহিকতার সৃষ্টি হচ্ছে, ছেলেরা তাদের ভূমিকা খুঁজে পাচ্ছে এবং একজন খারাপ করলে অন্যজন সেটি পুষিয়ে দিচ্ছে।’