কাতারের মাটিতে বিশ্ব ফুটবলের মহারণ বসতে বাকি আর মাত্র ১৩ দিন। এর মধ্যেই সকল প্রস্তুতি শেষ করেছে কাতারের কর্তৃপক্ষ আর বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা।
‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’র মহারণে দলগুলো কাতারজুড়ে যে ৮টি স্টেডিয়ামে বিশ্ব শ্রেষ্টত্বের লড়াইয়ে নামবে প্রস্তুত হয়ে গেছে সেগুলোও। ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিশ্বকাপের স্টেডিয়ামগুলো তৈরিতেই খরচ হয়েছে সিংহভাগ অর্থ।
তৈরি কাতার, তৈরি স্টেডিয়াম, ৩২টি দলও নিজেদের গুছিয়ে নেওয়ার শেষ সময়ের কাজে ব্যস্ত। অপেক্ষা শুধু বিশ্বকাপের স্টেডিয়ামের সবুজ ঘাসে বল পায়ে কিক-অফের। তার আগে চলুন জেনে নেওয়া যাক ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিশ্বকাপের স্টেডিয়ামগুলো সম্পর্কে।
কাতার বিশ্বকাপের ৮ স্টেডিয়াম নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদনের আজ ষষ্ঠ পর্বে থাকছে আল-জানুব স্টেডিয়াম নিয়ে বিস্তারিত।
আল-জানুব স্টেডিয়াম, আল-ওয়াকরাহ (৪০ হাজার) :
মধ্য দোহা থেকে প্রায় ২২ কি.মি. দক্ষিণাঞ্চলের আল-ওয়াকরাহ শহরে অবস্থিত আল-জানুব স্টেডিয়ামটি নির্মিত হয়েছে কাতারের ঐতিহ্যবাহী বিশেষ নৌকার আদলে।
৪০ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতার এই স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের নক-আউট পর্বের ম্যাচসহ সর্বমোট ৭টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্বকাপ শেষে স্টেডিয়ামটির ধারণক্ষমতা অর্ধেকে নামিয়ে আনা হবে।
বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে কাতারের আল-ওয়াকরাহ শহরে নির্মিত স্টেডিয়ামটি উদ্বোধন করা হয় ২০১৯ সালের কাতারের আমির কাপের ফাইনালের মধ্য দিয়ে। স্টেডিয়ামটি ডিজাইন করেছেন প্রখ্যাত নারী স্থপতি জাহা হাদিদ।
ফুটবলের বাইরেও জায়গাটি অন্যান্য খেলাধুলা এবং অবকাশ যাপনের সুবিধা সমন্বিত পার্কল্যান্ড দ্বারা বেষ্টিত। বিশ্বকাপ শেষে আগের মতোই আল-ওয়াকরাহ স্পোর্টস ক্লাবের যাবতীয় কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবে আল-জানুব স্টেডিয়াম।
স্টেডিয়ামটি নির্মাণ করা হয়েছে ধৌ নামের নৌকার পালের আকৃতিতে। ঐতিহ্যবাহী এই নৌকা সাধারাণত সমুদ্রে মাছ ধরা ও মুক্তা আহরণের কাজে ব্যবহৃত হয়।