টি-২০ বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে পাকিস্তান। এরপর টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ভারতকে ১০ উইকেটে উড়িয়ে দিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে ইংল্যান্ড। আর ঠিক তখন থেকেই ঘুরে ফিরে আসছিলো ১৯৯২ সালে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপের কথা। যেই বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ডকে ২২ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জিতেছিল পাকিস্তান।
১৯৯২ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের শুরুটা ভালো না হলেও শেষ পর্যন্ত ইমরান খানের নেতৃত্বে বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুলে পাকিস্তান। এই টি-২০ বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের কাছে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে গিয়েছিল পাকিস্তান। তবে শেষ পর্যন্ত ঘুরে দাঁড়িয়ে বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছে পাকিস্তান।
তাই অনেকেই ১৯৯২ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের সঙ্গে তুলনা মিল খুঁজে পেয়েছিলেন এই টি-২০ বিশ্বকাপের। ফাইনালের আগে পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজমও বলেছিলেন সেই কথা।
ফাইনালের আগে সংবাদ সম্মেলনে বাবর বলেছিলেন, ‘হ্যাঁ, ১৯৯২ সালের সেই বিশ্বকাপের সঙ্গে মিল তো আছেই। আমরা ট্রফিটা জেতার চেষ্টা করব আর এই দলটার অধিনায়কত্ব করাও গর্বের। ইনশাআল্লাহ আগামীকালের ম্যাচে আমরা নিজেদের শতভাগ উজাড় করে দেব।’
তবে ১৯৯২ সালের পুনরাবৃত্তি হয়নি মেলবোর্নে। পাকিস্তানকে ফাইনালে হারিয়ে ১৯৯২ সালের ফাইনাল হারের প্রতিশোধ নিলো ইংল্যান্ড। টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জস বাটলার। প্রথমে ব্যাট করে ইংল্যান্ড পেসারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান।
১৩৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে জয় পায় ইংল্যান্ড। ফাইনালে আরও একবার অনবদ্য ব্যাটিংয়ে ইংল্যান্ডের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেন বেন স্টোকস।
১৩৮ রানের মামুলি টার্গেটও পাহাড়সম করে দেন পাকিস্তানের পেসাররা। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারেই ৩ হারায় ইংল্যান্ড। তবে স্টোকসের ঠান্ডা মাথার ৪৯ বলে অপরাজিত ৫২ রানের ইনিংসে ৬ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটের জয় পায় ইংল্যান্ড। শেষ পর্যন্ত ৯২’র প্রতিশোধ নিয়ে টি-২০ বিশকাপের দ্বিতীয় শিরোপা ঘরে তুললো ইংল্যান্ড।