প্রায় দুই বছর ধরে ডায়াবেটিস, জন্ডিস, কিডনিতে সমস্যা ও রক্তের প্রদাহসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগে রোববার (১৩ নভেম্বর) মারা গেছেন সংগীতশিল্পী আকবর। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশের শোবিজ অঙ্গনে।
হানিফ সংকেতের ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’তে কিশোর কুমারের ‘একদিন পাখি উড়ে’ নতুন করে গেয়েছিলেন আকবর আলী গাজী। এ গান সে সময় তাকে আলোচনায় নিয়ে আসে।
এরপর ‘তোমার হাতপাখার বাতাসে’ গানটি দেশ-বিদেশের দর্শক-শ্রোতার কাছে জনপ্রিয়তা পায়। এই গানে তার সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছিলেন ওই সময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা। আকবরের স্ত্রী রূপে অভিনয় করেন তিনি।
আকবরের মৃত্যুর সংবাদে মর্মাহত পূর্ণিমাও। পূণির্মা গণমাধ্যমকে বলেন, উনার (আকবর) মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে অনেক খারাপ লাগছে। দীর্ঘদিন ধরেই তো উনি (আকবর) অসুস্থ ছিলেন। চিকিৎসার জন্যও নানান বেগ পেতে হয়েছে। অনেক কষ্ট পেয়ে তিনি মারা গিয়েছেন। তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।
‘তোমার হাতপাখার বাতাসে’র শুটিংয়ের স্মৃতিচারণ করে পূর্ণিমা বলেন, কাজটি করার সময় তিনি (আকবর) বেশ নার্ভাস ছিলেন। তার জীবনে এটি বিশাল একটি কাজ। আমার সঙ্গে বসে আছেন তিনি। আমি হাত পাখার বাতাস করছি তাকে, খাওয়াচ্ছি। হাত ধরারও কিছু দৃশ্য ছিলো। এত বেশি নার্ভাস ছিলেন যে, পাশে বসবেন কী বসবেন না, তা নিয়েও সংশয়ে ছিলেন। কিন্তু আমি আর সংকেতদা তাকে যেভাবে বুঝিয়েছি সেভাবেই শেষ পর্যন্ত কাজটি করেছেন। বোঝাই যায়নি এই ধরনের কাজ এটাই তার প্রথম।
পূর্ণিমা আরও বলেন, আকবর যখন ‘একদিন পাখি উড়ে’ শিরোনামের গানটি করে খ্যাতি অর্জন করেন, তখন হানিফ সংকেত দাদা ‘তোমার হাত পাখার বাতাসে’ মিউজিক ভিডিওটির চিন্তা করেন। তখনকার সময়ে আমি জনপ্রিয় একজন চিত্রনায়িকা। এ হিসেবেই হয়তো আমাকে মিউজিক ভিডিওটিতে অভিনয় করতে প্রস্তাব দেন। তাই আমি কাজটি করেছিলাম।
তিনি বলেন, যেহেতু গানটি আকবরের মৌলিক গান ছিল, সে সময় এই গানের জন্যও আমি অনেক ভক্তের ভালোবাসা পেয়েছি।
প্রসঙ্গত, খুলনার পাইকগাছায় জন্মগ্রহণ করেন আকবর। বেড়ে ওঠেন যশোরে। গায়ক হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার আগে যশোরে রিকশা চালাতেন তিনি।