ম্যানচেস্টার সিটি, লিভারপুল ও চেলসির পাশাপাশি লিগে চতুর্থ হয়ে পরের মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার ভিসা পাবার জন্য শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়ে গেছে উত্তর লন্ডনের দুইটি ক্লাব আর্সেনাল আর টটেনহাম হটস্পার। টটেনহামের চেয়ে দুই পয়েন্টে পিছিয়ে পাঁচ নম্বরে ছিল আর্সেনাল, চার নম্বরে উঠতে হলে নিজেদের জয়ের পাশাপাশি টটেনহামের পরাজয়ও কামনা করতে হতো। টটেনহামের প্রতিপক্ষ ছিল নরউইচ সিটি, লিগের ২০তম দল হয়ে যারা সবার আগেই অবনমন নিশ্চিত করেছে।
নিজেদের মাঠে নরউইচ টটেনহামের কাছে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে। ফলে এভারটনকে ৫-১ গোলে হারিয়েও লাভ হয়নি আর্সেনালের। দুই লন্ডন প্রতিবেশীর পয়েন্ট ব্যবধান তাই অপরিবর্তিতই থেকে গিয়েছে। চ্যাম্পিয়নস লিগে টটেনহাম, ইউরোপা লিগে আর্সেনাল।
আর্সেনাল অবশ্য ইউরোপা লিগে একা যাচ্ছে না, সঙ্গী হিসেবে পাচ্ছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে। পয়েন্ট তালিকার ছয় নম্বরে থাকলে ইউরোপা লিগে খেলার সুযোগ হবে, সপ্তম হলে ঠাঁই হবে তৃতীয় শ্রেণীয় ইউরোপীয় প্রতিযোগিতা কনফারেন্স লিগে। শেষ রাউন্ডের আগে ৬ নম্বরে ইউনাইটেডই ছিল, দুই পয়েন্ট কম নিয়ে সাতে ওয়েস্ট হ্যাম। যদি ব্রাইটনকে ওয়েস্ট হ্যাম হারাতে পারত, আর ইউনাইটেড এবং ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে পয়েন্ট হারাত, তাহলেই পয়েন্ট তালিকায় এই দুই দলের অবস্থানে অদলবদল আসত। তখন ইউনাইটেড নাম লেখাত কনফারেন্স লিগে, আর ওয়েস্ট হ্যাম চলে আসত ইউরোপা লিগে।
ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তাতে অবশ্য চিন্তার কিছু হয়নি, কারণ ব্রাইটনের কাছে ৩-১ গোলে হেরেছে ওয়েস্ট হ্যাম। ফলে দুই দলের ব্যবধান এক। তিনবারের চ্যাম্পিয়নস লিগজয়ী ইউনাইটেডকে অন্তত তৃতীয় শ্রেণির ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় খেলার অস্বস্তিতে পড়তে হয়নি!
নরউইচ আর ওয়াটফোর্ডের পাশাপাশি তৃতীয় দল হিসেবে প্রথম বিভাগ থেকে অবনমন নিশ্চিত হয়েছে বার্নলির। নিউক্যাসলের বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরেছে তারা। ব্রেন্টফোর্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে অবনমন এড়িয়েছে লিডস ইউনাইটেড। তাতে বার্সেলোনার কপালে চিন্তার ভাঁজ বেড়েছে একটু। লিডস অবনমিত হলে দলের তারকা ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার রাফিনিয়া আড়াই কোটি ইউরোর বিনিময়ে ক্লাব ছাড়তে পারতেন, যে রাফিনিয়ার প্রতি বার্সেলোনার আগ্রহ বহুদিনের। অবনমন এড়ানোর কারণে এখন আর এত কমে রাফিনিয়াকে পাওয়া যাবে না। হয়তো এখন অন্যদিকে চোখে দেবে বার্সেলোনা!