ইউক্রেনে সাহায্য পাঠানোর বদলে স্কুলের নিরাপত্তার জন্য অর্থায়নকে অগ্রাধিকার দেবার কথা বলেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আগ্নেয়াস্ত্রের পক্ষে আয়োজিত হওয়া এক সম্মেলনে মি. ট্রাম্প মন্তব্য করেন যে, “যুক্তরাষ্ট্র যদি ইউক্রেনে বিলিয়ন ডলার সাহায্য হিসেবে পাঠাতে পারে, তাহলে দেশের মাটিতে আমাদের শিশুদের নিরাপদ রাখতে আমাদের যে কোন কিছু করতে পারা উচিৎ।”
হিউস্টনে আগ্নেয়াস্ত্রের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সংগঠন ন্যাশনাল রাইফেল অ্যাসোসিয়েশনের চলমান সম্মেলনে এই মন্তব্য করেছেন মি. ট্রাম্প।
টেক্সাসের ইউভালডে শহরের এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক কিশোরের গুলিতে ১৯টি শিশু মারা যাওয়ার তিনদিন পর এমন বক্তব্য দিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট।
“ইরাক ও আফগানিস্তানে আমরা ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করেছি এবং তার বিনিময়ে কিছু পাইনি। পৃথিবীর বাকি দেশ গঠন করার আগে আমাদের নিজেদের সন্তানদের জন্য নিরাপদ স্কুল গঠন করা উচিৎ”, বলেন মি. ট্রাম্প।
এ মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ইউক্রেনে প্রায় চার হাজার কোটি ডলার (প্রায় ৩১০০ কোটি পাউন্ড) সেনা সহায়তা পাঠানোর পক্ষে ভোট দিয়েছে।
ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে অভিযান শুরু করার পর যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রণেতারা এখন পর্যন্ত প্রায় ৫৪০০ কোটি ডলার সহায়তা পাঠিয়েছে ইউক্রেনে।
তবে মি. ট্রাম্প আগ্নেয়াস্ত্র আইন কঠোর করার বিরোধিতা করেছেন।
তার মতে, ‘অশুভ’ শক্তির বিরুদ্ধে নিজেদের রক্ষা করতে সভ্য আমেরিকানদের আগ্নেয়াস্ত্রের অনুমতি দেয়া প্রয়োজন।
স্কুলের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রতি স্কুলে অন্তত একজন সশস্ত্র পুলিশ অফিসার রাখা এবং মেটাল ডিটেক্টরসহ কেবলমাত্র একটি প্রবেশপথ রাখার প্রস্তাব করেন তিনি।
মি. ট্রাম্প তার বক্তব্যে বলেন, “অস্ত্র হাতে একজন মন্দ লোককে থামানোর একমাত্র পথ হচ্ছে, অস্ত্র হাতে একজন ভালো মানুষ।”