কাতারে বিশ্বকাপ ফুটবলের খেলা হচ্ছে আট স্টেডিয়ামে। এর মধ্যে একটি স্টেডিয়ামের নাম সবার নজর কাড়ে। স্টেডিয়ামের নাম ‘নাইন সেভেন ফোর’। কিন্তু কেন এমন নাম দেওয়া হলো? এই স্টেডিয়াম নিয়ে ফুটবল দর্শকের যেন কৌতূহলের শেষ নেই।
নাইন সেভেন ফোর স্টেডিয়ামে সাতটা খেলা হবে। এরই মধ্যে এই মাঠে প্রথম ম্যাচও হয়ে গেছে গতকাল রাতে। মেক্সিকো-পোল্যান্ড মুখোমুখি হয়েছে ব্যতিক্রমী আদলে গড়ে তোলা স্টেডিয়ামে। এই স্টেডিয়ামে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, ফ্রান্সের খেলা রয়েছে। বিশ্ব ফুটবলের আরেক তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পর্তুগালের খেলাও রাখা হয়েছে নাইন সেভেন ফোর স্টেডিয়ামে।
আয়োজক কাতার সেভাবেই কাজ করছে। তারা দেখাতে চায়, পরিকল্পনায় কতটা এগিয়ে কাতার। এই স্টেডিয়ামটি তুলে বাংলাদেশে আনা হতে পারে। কেন স্টেডিয়ামের নাম করা হলো ‘নাইন সেভেন ফোর’? কারণ ব্যতিক্রমী এই স্টেডিয়াম তৈরি হয়েছে কনটেইনার দিয়ে। ৯৭৪টা কনটেইনার দিয়ে তৈরি করা হয়েছে স্টেডিয়ামটি। যেগুলো খেলা শেষে অনায়াসে খুলে ফেলা যাবে। তুলে নেওয়া যাবে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে।
বিশ্বকাপের স্মৃতিমাখা এই স্টেডিয়াম বাংলাদেশে আনার পরিকল্পনার কথা শোনা যাচ্ছে। এরই মধ্যে সেটা নিয়ে আলোচনাও হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমে এসেছে। কাতারে অবস্থান করছেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ এবং বাফুফের সহসভাপতি আতাউর রহমান মানিক। তারা এরই মধ্যে সেখানে একটি সভায় আলোচনা তুলেছেন। স্টেডিয়াম খুলে ফেলা হলে সেটি কোথায় নিয়ে যাওয়া হবে, কী কাজে লাগানো হবে? বাংলাদেশ বলছে, তারা নাইন সেভেন ফোর স্টেডিয়ামটি বাংলাদেশে আনতে চায়। কিন্তু চাইলেই তো হবে না। কাতারে সংবাদমাধ্যমকে সোহাগ জানিয়েছেন, ঢাকায় ফিরে কাতার দূতাবাসের সঙ্গে কথা চালাচালি করবেন।