অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের অধীন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্তৃক বিভিন্ন কাস্টম হাউজ ও দপ্তরের জন্য ছয়টি পূর্ণাঙ্গ কনটেইনার স্ক্যানার সিস্টেম ক্রয় করা হবে। এর জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৩২৭ কোটি টাকা। গতকাল বুধবার ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
সভা সূত্রে জানা যায়, নাকটেক কোম্পানি লি. এই স্ক্যানারগুলো সরবরাহ করবে। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজে চারটি, সড়কপথের সবচেয়ে বড় বেনাপোল কাস্টম হাউজে একটি ও সাতক্ষীরার ভোমরা কাস্টম হাউজে একটি স্ক্যানার মেশিন বসবে। এনবিআর সূত্র বলেছে, বাংলাদেশ কাস্টম বিভাগকে আধুনিকায়ন করতে সরকার যেসব উদ্যোগ নিয়েছে অত্যাধুনিক স্ক্যানার মেশিন স্থাপন করা হচ্ছে তারই অংশ হিসেবে। মোট আমদানি শুল্ক আদায়ের ৮০ শতাংশ সংগৃহীত হয় এই তিনটি কাস্টম হাউজের মাধ্যমে। এর মধ্যে সিংহভাগ আদায় হয় চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ থেকে। উল্লেখ্য, দেশের বিভিন্ন কাস্টম হাউজে বর্তমানে ১০টি স্ক্যানার মেশিন রয়েছে। এর মধ্যে চারটি অনেক পুরোনো।
ক্রয় কমিটির সভায় মোট পাঁচটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অনুমোদিত অন্য প্রস্তাবগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) কর্তৃক রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় কানাডা হতে অষ্টম লটে ৫০ হাজার মে. টন মিউরেট-অব-পটাশ (এমওপি) সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন হয়েছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪১৪ কোটি ১৩ লাখ টাকা। অপর এক প্রস্তাবে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) কর্তৃক রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে ইউএই থেকে ষষ্ঠ লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ১৮৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকায় আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অপর প্রস্তাবে বিসিআইসি কর্তৃক কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো), বাংলাদেশ এর নিকট থেকে নবম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ১৮৫ কোটি ১২ লাখ ৫৭ হাজার টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পৃথক এক প্রস্তাবে বিসিআইসি কর্তৃক রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে কাতার থেকে ১১তম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ১৮৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।