আজকের সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকেরা জানতে চেয়েছিলেন, কেমন হবে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান? এমন প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, ‘আপনারাই বলেন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ম্রিয়মাণ, নাকি জমকালো হওয়া উচিত?’ জবাবে কোনো কোনো সাংবাদিক বলেন, জমকালো হওয়া উচিত। তখন মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘তাহলে ইনশা আল্লাহ, সুপার গর্জিয়াস (খুবই জমকালো) হবে। পদ্মা সেতুর মূল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পাশাপাশি ৬৪টি জেলাতেও অনুরূপভাবে তা দেখানোর সুযোগ থাকবে।’
গতকাল রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে গেজেট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে ‘পদ্মা সেতু’র নামকরণও করা হয়েছে। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের তারিখ ও সেতুর নামকরণ অনুমোদনের জন্য ২৪ মে সারসংক্ষেপ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ওই দিন তিনি গণভবন থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদ্মা সেতুর দুটো সামারি (সারসংক্ষেপ) দিয়েছিলাম। একটা পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সামারি, যেখানে তিনি ২৫ জুন তারিখ লিখে সই করেছেন। আরেকটি ছিল পদ্মা সেতুর নাম শেখ হাসিনা সেতু করার। সেটিতে তিনি সই করেননি। তিনি বলেছেন, পদ্মা সেতুর নাম পদ্মা নদীর নামে হবে। এটি কারও নামে করার দরকার নেই।’