প্রতিটি দলই খেলে ফেলেছে দুটি করে ম্যাচ। কিন্তু এ ও বি গ্রুপ থেকে কোনো দলই এখনো শেষ ষোলো নিশ্চিত করতে পারেনি। একমাত্র স্বাগতিক কাতারের ছিটকে পরা নিশ্চিত হয়েছে। দুই গ্রুপের বাকি ৭ দলেরই যেমন দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার সম্ভাবনা আছে, আছে বাদ পড়ার শঙ্কাও। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কী করলে কোন দলের কি হবে!
গ্রুপ-এ :
এ গ্রুপে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে শিরোপা প্রত্যাশী নেদারল্যান্ডস ও ইকুয়েডর। দুই ম্যাচ শেষে দুই দলেরই পয়েন্ট সমান ৪ করে। গোল দেওয়া এবং খাওয়াতেও দুই দল সমান সমান। দুই দলই সমান ৩টি করে গোল করেছে, খেয়েছে সমান একটি করে। ৩ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে থাকা সেনেগালেরও আশা বেঁচে আছে। কাতার এরই মধ্যে বাদ। এবার দেখা যাক কোন দলের জন্য কি সমীকরণ প্রযোজ্য—
নেদারল্যান্ডস : সুবিধাজনক অবস্থানে থাকায় নেদারল্যান্ডস আজ কাতারের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে ড্র করলেই শেষ ষোলোর টিকিট পেয়ে যাবে। জিতলে তো কথাই নেই। এমনকি হারলেও পরের রাউন্ডে যেতে পারবে ডাচরা, যদি গ্রুপের অন্য ম্যাচে ইকুয়েডরের কাছে সেনেগাল হেরে যায় বা ম্যাচটি ড্র হয়। যদি কাতারের কাছে ডাচরা হারে এবং ইকুয়েডরের বিপক্ষে সেনেগাল জিতে যায়? সেক্ষেত্রে দেখতে হবে নেদারল্যান্ডস ও ইকুয়েডরের কে গোল খেয়েছে কম। যারা কম গোল খাবে তারাই সেনেগালের সঙ্গী হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাবে।
ইকুয়েডর : দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির সমীকরণ ঠিক ডাচদের মতোই। জিতলে তো কথাই নেই, সেনেগালের সঙ্গে ড্র করলেও যেতে পারবে শেষ ষোলোতে। এমনকি হারলেও শেষ ষোলোতে যেতে পারবে ইকুয়েডর, যদি তাদের চেয়েও বড় ব্যবধানে হারে নেদারল্যান্ডস।
সেনেগাল : ইকুয়েডরের বিপক্ষে জিতলে অনায়াসেই নকআউটে পা রাখতে পারবে আফ্রিকার দেশটি। ড্র করলেও তারা শেষ ষোলোতে যেতে পারবে, তবে সেক্ষেত্রে কাতারের কাছে নেদারল্যান্ডসকে অন্তত ৩-০ গোলের বড় ব্যবধানে হারতে হবে!
গ্রুপ বি :
এই গ্রুপের ৪ দলেরই সম্ভাবনা বেঁচে আছে। তবে সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থায় আছে শিরোপা প্রত্যাশী ইংল্যান্ড। দুই ম্যাচে ৪ পয়েন্ট তাদের। ৩ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে ইরান। ২ পয়েন্ট নিয়ে তিনে যুক্তরাষ্ট্র। ৪ নম্বরে থাকা ওয়েলসের পয়েন্ট ১। এ অবস্থায় আজ ইংল্যান্ডের মুখোমুখি ওয়েলস। ইরানের সামনে যুক্তরাষ্ট্র। দেখা যাক কোনো দলের সামনে অপেক্ষা করছে কোন সমীকরণ-
ইংল্যান্ড : জিতলে তো বটেই, ওয়েলসের বিপক্ষে আজ ড্র করলেও হ্যারি কেইনদের পরের রাউন্ডে যাওয়া নিশ্চিত হবে। এমনকি ওয়েলসের কাছে হারলেও ইংল্যান্ড পরের রাউন্ডে যেতে পারবে, যদি তাদের হারের ব্যবধান ৪-০ গোলের ছোট হয় এবং ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাচে ফল হয় বা ড্র হয়।
ইরান : যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে জিতলে কোনো সমীকরণই ইরানকে আটকে রাখতে পারবে না। পেয়ে যাবে শেষ ষোলোর টিকিট। কিন্তু যদি ম্যাচটি ড্র হয় বা তারা হেরে যায়. তাহলে? ড্র করলেও ইরানের সুযোগ থাকবে, যদি ওয়েলসের বিপক্ষে ইংল্যান্ড জিতে বা ম্যাচটি ড্র হয়। হারলে ইরানিদের কোনো সুযোগই থাকবে না!
যুক্তরাষ্ট্র : মার্কিনিদের জন্য সমীকরণটা খুব সহজ। ইরানের বিপক্ষে তাদের অবশ্যই জিততে হবে। জয় ছাড়া আর কোনো পথই তাদের সামনে খোলা নেই। মানে হার তো বটেই ড্র করলেও তাদের কোনো সুযোগ থাকবে না।
ওয়েলস : গ্যারেথ বেলদের সুযোগটা একেবারেই নিভু নিভু। কারো দিকে না তাকিয়ে সরাসরি শেষ ষোলোতে যেতে হলে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের অন্তত ৪-০ গোলে জিততে হবে। ন্যূনতম ব্যবধানের জয় হলেও চলবে, সেক্ষেত্রে ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাচটি ড্র হতে হবে। এর অন্যথা হলেই বাদ ওয়েলস।