যুদ্ধে নিহত হয়েছে ইসলামিক স্টেটের প্রধান আবু আল-হাসান আল-হাশিমি আল-কুরেশি। এক বিবৃতিতে এমনটাই জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠনটি। বুধবার আইএসের মুখপাত্র বলেছে, “ঈশ্বরের শত্রুদের সঙ্গে লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে হাশিমির।”
গত ফেব্রুয়ারি মাসে সিরিয়ার ইদলিব শহরে মার্কিন ফৌজের এক অভিযানে মৃত্যু হয় তৎকালীন আইএস প্রধান আবু ইব্রাহিম আল-হাশেমি আল-কুরেশি এবং আইএস মুখপাত্র আবু হামজা আল-কুরেশির। তারপরই মার্চ মাসে আবু আল-হাসান আল-হাশিমি আল-কুরেশিকে সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে ঘোষণা করে সংগঠনটি। এবার তার মৃত্যুতে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে জেহাদিরা। বুধবার এক অডিও বার্তায় নতুন প্রধানের নাম ঘোষণা করে ইসলামিক স্টেট। সংগঠনের নয়া প্রধান হিসাবে এবার দলের রাশ ধরবে আবু আল-হুসেইন আল-হুসেইনি আল-কুরেশি। বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘটনার জেরে ‘খিলাফত’ বা বিশ্বজুড়ে মুসলিম সাম্রাজ্য গড়ে তোলার প্রয়াস জোর ধাক্কা খেয়েছে।
২০১৯ সালে সিরিয়ার ইদলিব শহরে মার্কিন ‘ডেল্টা ফোর্স’-এর গোপন অভিযানে খতম হয় আইএসের প্রথম সুপ্রিম লিডার আবু বকর আল বাগদাদির। তারপর থেকেই দলের ভার সামলাচ্ছিল ৪৫ বছরের শিক্ষাবিদ আবু ইব্রাহিম। এক সময়ে ইরাকের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হুসেনের সেনা বাহিনীর সদস্যও ছিল সে। ইব্রাহিমের সময়ই তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক মদবুত হয় হাশিমির। চলতি বছরের মে মাসে তুরস্কের ইস্তানবুলে হাশিমি গ্রেপ্তার হয়েছিল বলে ‘খবর’ মিলেছিল। যদিও তা স্বীকার করেনি তুরস্ক।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সেলে ইরাকে পরাজিত হয় ইসলামিক স্টেট। তবে হারলেও এখনও যথেষ্ট শক্তি ধরে সংগঠনটি। কয়েকদিন আগেই ইরানের সিরাজ শহরে একটি মাজারকে নিশানা করে আইএসের বন্দুকবাজরা। শিয়া সংখ্যাগুরু দেশ ইরানে সুন্নি আইএস জঙ্গিদের এভাবে সক্রিয় হয়ে ওঠা অশনি সংকেত বলেই মত বিশ্লেষকদের। বিশেষ করে হিজাব বিক্ষোভের সময় জঙ্গিদের গতিবিধি ভবিষ্যতে বড় অঘটনের দিকেই ইঙ্গিত করছে। তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তথা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ ফওয়াদ ইজাদির মতে, মসজিদ ও মাজারগুলিকে নিশানা করা ইসলামিক স্টেটের ট্রেড মার্ক হামলার নমুনা।