শেষ ষোলোয় উঠতে জয়ের বিকল্প ছিলো না উরুগুয়ের। কাঙ্খিত সেই জয় এলো, কিন্তু তা যথেষ্ট হলো না দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের জন্য। ২০ বছর পর প্রথম রাউন্ড পেরোতে ব্যর্থ হলো লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের দেশটি।
১২ বছর আগের দুঃসহ স্মৃতিই যেন চাপ হয়ে ভর করলো ঘানা শিবিরে। দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে এফএনবি স্টেডিয়ামে উরুগুয়ের বিপক্ষে সেই পেনাল্টি মিসের ক্ষত এখনও যাদের মনে দগদগে, সেই ঘানা আবারও একই ভুল করলো। একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে পেনাল্টি পেয়ে আবারও গোল করতে ব্যর্থ দক্ষিণ আফ্রিকার দেশটি। সুযোগ হারিয়ে পরে হজম করতে হলো ২ গোল। প্রতিশোধের মিশন নিয়ে নেমে সেই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে মেনে নিতে হলো হার।
শুক্রবার কাতারের আল জানোব স্টেডিয়ামে ‘এইচ’ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে ঘানাকে ২-০ গোলে হারিয়েছে উরুগুয়ে। শেষ ষোলোয় উঠতে এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প ছিলো না দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। কাঙ্খিত সেই জয় এলো, কিন্তু এই জয় যথেষ্ট হলো না। একই সময়ে শুরু হওয়া আরেক ম্যাচের সমীকরণের মারপ্যাঁচে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হলো উরুগুয়েকে। ২০ বছর পর প্রথম রাউন্ড পেরোতে ব্যর্থ হলো লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের দেশটি। সর্বশেষ ২০০২ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছিল তারা।
দক্ষিণ কোরিয়ার সমান চার পয়েন্ট হওয়ায় গোল ব্যবধান, গোল দেওয়া ও হজম করার হিসেব কষা হয়। গোল ব্যধানে সমান থাকলেও বেশি গোল দেওয়ায় পিছিয়ে পড়ে উরুগুয়ে। পরের রাউন্ডে উঠতে ঘানারও দরকার ছিল জয়, তবে ড্র করলেও থাকতো সম্ভাবনা। কিন্তু এমন ম্যাচের চাপ সামলাতে পারলো না তারা। তিন পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের চার নম্বর দল হিসেবে উরুগুয়ের সঙ্গে তারাও বিদায় নিলো।
এই গ্রুপ থেকে চমক দেখানো দক্ষিণ কোরিয়া রানার্স-আপ হিসেবে উঠেছে দ্বিতীয় রাউন্ডে। একই সময়ে শুরু হওয়া ম্যাচে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর দেশ পর্তুগালকে ২-২ গোলে হারিয়েছে এশিয়ার দেশটি। বিশ্বকাপে ১১ বারের মিশনে এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠলো কোরিয়া। প্রথম দুই ম্যাচ জিতেই পরের রাউন্ড নিশ্চিত করা পর্তুগাল গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে নক আউট পর্বে পা রাখলো।
উরুগুয়ে ২-০ গোলে জিতলেও ম্যাচে লড়াই হয়েছে সমানে সমান। গোলের জন্য মরিয়া দুই দলই সুযোগ বুঝে হানা দিয়েছে প্রতিপক্ষের শিবিরে। ম্যাচে ৪৯ শতাংশ সময় বল পায়ে রাখা উরুগুয়ে গোলমুখে শট নেয় ১২টি, এর মধ্যে ৭টি থাকে লক্ষ্যে। ঘানার নেওয়া ১০টি শটের ৪টি ছিল লক্ষ্যে। উরুগুয়ের পক্ষে দুটি গোলই করেন দিওগ্রিয়ান দি আরাসেতা।