ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরুর ১০০তম দিন ছিল শুক্রবার। এদিন মস্কো জানায়, ইউক্রেনে তাদের সামরিক কার্যক্রম চলবে। চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত আক্রমণ থামবে না। কিয়েভ বলেছে, যুদ্ধ শুরুর পর তাদের ভূখণ্ডের ২০ শতাংশ দখলে নিয়েছে রাশিয়া।
তবে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, বিশ্বের দ্বিতীয় শক্তিশালী সেনাবাহিনীকে প্রতিরোধ করার বিষয়টি অসম্ভব বলে মনে হলেও তাঁর সেনারা তা করতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা প্রসঙ্গে বলেন, এটা যুদ্ধাপরাধ, লজ্জা ও ঘৃণা ছাড়া আর কিছুই নয়।
বৃহস্পতিবার লুক্সেমবার্গের এমপিদের উদ্দেশে ভিডিও ভাষণ দেন জেলেনস্কি। তিনি বলেন, রাশিয়ার সম্মুখসারির যোদ্ধারা ইউক্রেনের এক হাজার কিলোমিটারের বেশি জায়গাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছেন। রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর রণসক্ষমতার সবটুকুই চলমান এ আগ্রাসনে ব্যবহার করা হয়েছে।
হামলা জোরদার করেছে রুশ বাহিনী
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলেছেন, দনবাসের সেভেরোদোনেৎস্ক শহরে হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে রুশ বাহিনী। তারা এই শহরের বেশির ভাগ এলাকা দখলে নিয়েছে ও বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ ব্যবহার করে সাফল্য অর্জন করছে।
আঞ্চলিক গভর্নর সেরহি হাইদাই বলেছেন, সেভেরোদোনেৎস্কের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সব দিক থেকেই ভাঙতে চাইছেন রুশ সেনারা। ইউক্রেনের সেনারাও পাল্টা হামলা চালাচ্ছেন। তাঁদের পাল্টা হামলা ঠেকাতে রুশ সেনারা শহরটির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনকারী সেভেরস্কি ডোনেটস নদীর ওপর সেতু উড়িয়ে দিচ্ছেন।