মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কদ্দুস খান মডলিশ মাখন আইসিইউতে ভর্তি থাকা অবস্থায় মামলার আসামি হয়েছেন। তাকে ও সাধারণ সম্পাদক আবুল বাসার সরকারসহ ২৮ জন নেতা-কর্মীর নামে নাশকতার মামলা করা হয়েছে। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ২০/২৫ জনকে।
উপজেলার যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক বাদী হয়ে গত ৩০ নভেম্বর বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে সাটুরিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলা হওয়ার পর থেকে সাটুরিয়া বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক। তাদের অনেকেই বাসাবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থল ছেড়ে আত্মগোপন রয়েছেন বলে জানা গেছে।
উপজেলার বালিয়াটি ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মাসুদুর রহমান খান স্বপন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি রেজাউল করিম ও শহিদুল্লাহ নামের একজনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
জানা গেছে, গত ২৫ নভেম্বর থেকে সাটুরিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কদ্দুস খান মসলিশ মাখন (৬৫) ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ২৭ নভেম্বর রাতে বুকে গুরুত্বপূর্ণ অপারেশন করার পর আইসিইউতে ছিলেন তিনি। হাসপাতালে অচেতন থেকেও নাশকতা মামলায় তিনি হয়েছে ১ নম্বর আসামি।
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার সরকার এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আগামী ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ বানচাল করতে মিথ্যা গায়েবি মামলা দিয়ে আমাদের নেতা-কর্মীদের হয়রানি করছে পুলিশ। সাটুরিয়াতে কোনো নাশকতার ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ রাষ্ট্রীয় বাহিনী হয়ে একটি দলের পক্ষে কাজ করছে। প্রতি রাতেই বাড়ি বাড়ি হানা দিচ্ছে। গ্রেফতারের ভয়ে শতাধিক নেতা-কর্মী পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।’
সাটুরিয়া থানার ওসি সুকুমার বিশ্বাস বলেন, ‘২৮ জনের নামে ও অজ্ঞাত ২০-২৫ জনকে আসামি করে বিস্ফোরক আইনে থানায় মামলা হয়েছে। ইতোমধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করে মানিকগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান রয়েছে।’