৪১ জনের মধ্যে ২৩ লাশ হস্তান্তর, ৩৫ স্বজনের নমুনা সংগ্রহ * আরও ৪ কেমিক্যাল কনটেইনার শনাক্ত * ডিপো পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্রসহ ৫ মন্ত্রী
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম ডিপোর আগুন ৪৮ ঘণ্টা পরও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়েও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছেন না। সোমবার সন্ধ্যায়ও ডিপোর বিভিন্ন কনটেইনার জ্বলতে দেখা গেছে। তবে আগুন আর ছড়ানোর সুযোগ নেই।
ডিপোতে আরও ৪টি রাসায়নিকভর্তি কনটেইনার চিহ্নিত করা হয়েছে। আগুন নেভানোর জন্য শনিবার রাত ১০টা থেকে সোমাবার রাত ১০টা পর্যন্ত টানা ৪৮ ঘণ্টা পার হয়ে গেছে। এ সময়ে ফায়ার সার্ভিসের নিজস্ব ভাউজার এবং আশপাশের ৭টি পুকুরের পানি ঢেলেও আগুন নেভানো যায়নি।
ঘটনার দুদিন পরও ডিপোর পার্শ্ববর্তী কেশবপুর ও শীতলপুর গ্রামের মানুষের আতঙ্ক কাটছে না। সোমবার ডিপোতে নতুন করে আর কোনো লাশ পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে ৪৯ জনের মৃতদেহ উদ্ধারের কথা বলা হলেও সোমবার তা সংশোধন করা হয়।
এদিন বলা হয় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৪১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৩ জনের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। অন্যদের পরিচয় নিশ্চিতে ৩৫ স্বজনের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে ডিএনএ নমুনা।
এদিকে সোমবার দুপুরে বিএম ডিপো পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। সেখান থেকে তিনি চমেক হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান। পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, ঘটনা ‘ভয়াবহ’।
এর জন্য কেউ দায়ী হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেনের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের বিশেষজ্ঞদল চমেক হাসপাতালে গিয়ে রোগীদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন।
তিনজন রোগী আশঙ্কাজনক বিধায় তাদের ঢাকায় নিয়ে যাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন। চট্টগ্রামে একটি ১০০ শয্যার বার্ন হাসপাতাল হবে বলে জানান।
৭ পুকুরের পানি দিয়েও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি : সোমবার দুপুরে বিএম ডিপোর ভেতরে সরেজমিন দেখা যায়, সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা পুরো ডিপো ঘিরে রেখেছেন। সারি সারি স্তূপ করে রাখা কনটেইনার থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে, দেখা যাচ্ছে আগুনের শিখা।
আর ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা পানি দিয়ে এসব ধোঁয়া বন্ধ ও আগুন নেভানোর প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। যে কনটেইনার থেকে ধোঁয়া উঠছে, তার পাশের কনটেইনারগুলো অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। যাতে আগুন আর ছড়াতে না পারে।
সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিস সোমবার ডিপোতে আরও চারটি রাসায়নিকভর্তি কনটেইনার চিহ্নিত করে। যেগুলো অক্ষত রয়েছে। এদিন দুপুরে সেনাসদস্যরা সংবাদকর্মীদের ডিপো থেকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে দেন।
সোমবার দুপুর সোয়া ১২টায় বিএম ডিপোর গেটে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ২৪ ব্রিগেড ১৮বি-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ডিপোতে ৪টি কনটেইনারে রাসায়নিক পদার্থ থাকার বিষয়টি আমরা নিশ্চিত হয়েছি।
এই কনটেইনারগুলো ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা বিশেষ পদ্ধতিতে অপসারণ করার চেষ্টা করছেন। এছাড়া ডিপোর ভেতরে এখনো কালো ধোঁয়া থাকায় সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করতে কাজ করে যাচ্ছে।
ঘটনার দুদিন পার হওয়ার পরও ডিপোর পার্শ্ববর্তী কেশবপুর ও শীতলপুর গ্রামের মানুষ আতঙ্কে আছেন। ঘটনার পরপর এসব এলাকার বাসিন্দাদের অধিকাংশ শিশু ও নারী সদস্যকে নিকটবর্তী আত্মীয়স্বজনের বাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
বিস্ফোরণে অনেকের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভেঙে যায় জানালার কাচ। ফুঁটো হয়ে যায় টিনের চাল। দেওয়ালে দেখা দেয় ফাটল। নষ্ট হয়ে যায় বাসার এসি-ফ্রিজ। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রাসায়নিকের কারণে আশপাশের গ্রামে দূষণের কোনো আশঙ্কা নেই।
রাসায়নিক মিশ্রিত পানি সাগরে পড়ে দূষণ সৃষ্টির যে শঙ্কা ছিল, সেনাবাহিনী খালে বাঁধ দিয়ে তা রোধ করেছে শুক্রবারই। গ্রামের মানুষজনের আতঙ্কের কিছু নেই।
২৩ জনের লাশ হস্তান্তর, ৩৫ জনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ : চমেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, নিহত ৪১ জনের মধ্যে ২৩ জনের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি ১৮ লাশের পরিচয় শনাক্তে ৩৫ জন স্বজনের কাছ থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে সিআইডি।
সোমবার সকাল থেকে চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামানে বুথ স্থাপন করে লাশের পরিচয় শনাক্তে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
যে ২৩ জনের পরিচয় মিলেছে : চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা এ পর্যন্ত নিহত ২৩ জনের পরিচয় নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছেন। তারা হলেন ফায়ার সার্ভিসের মনিরুজ্জামান, আলাউদ্দিন, নিপন চাকমা, রানা মিয়া ও শাকিল তরফদার।
এছাড়া রয়েছেন বাঁশখালী উপজেলার বাসিন্দা রবিউল আলম, বাঁশখালী উপজেলার চনুয়া এলাকার মুমিনুল হক, একই উপজেলার মহিউদ্দিন, পুঁইছড়ি ইউনিয়নের নাজিম উদ্দিন রুবেল, তোফায়েল আহমেদ, রিদোয়ান, ভোলার দক্ষিণ বালিয়ারা এলাকার হাবিবুর রহমান, নোয়াখালী জেলার সুধারাম উপজেলার মো. সুমন, যশোর এলাকার ইব্রাহীম হোসেন, বিএম ডিপোর ডেস্ক এক্সিকিউটিভ ও ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার শাহাদাত উল্লাহ মজুমদার, সীতাকুণ্ড উপজেলার আফজাল হোসেন, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার মো. ফারুক, চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহরের মো. হারুন, সিলেটের মৌলভীবাজারের মো. নয়ন, মীরসরাইয়ের শাহাদাত হোসেন, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, তৌহিদ হোসেন ও রমজান আলী।
চট্টগ্রাম সিআইডি ফরেনসিক ল্যাবের অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম যুগান্তরকে বলেন, সোমবার ১৮ লাশের পরিচয় শনাক্তে ৩৫ জন স্বজনের কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। লাশের সঙ্গে ডিএনএ বিশ্লেষণ করে পরিচয় শনাক্ত করা হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ৫ মন্ত্রীর ডিপো পরিদর্শন : সোমবার বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ হাসান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
আসাদুজ্জামান খান কামাল সীতাকুণ্ডে দুর্ঘটনাকবলিত বিএম ডিপো পরিদর্শনে আসেন। সেখান থেকে যান চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটিকে ভয়াবহ উল্লেখ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এ ঘটনায় যে বা যার দায় বা অবহেলা থাকবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।’
তিনি বলেন, ‘আগুন ও বিস্ফোরণের ঘটনায় আন-অফিসিয়ালি ৪৯ জন নিহত হওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। কিন্তু আমরা এখানে আসার পর অফিসিয়ালি জেনেছি ৪১ জনের লাশ পাওয়া গেছে। অফিসিয়ালি হোক আর আন-অফিসিয়ালি হোক, তদন্ত করে যত জনের লাশ পাওয়া যাবে, আমরা সেটি নিশ্চিত করে জানাব। নিহতদের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ৯ জন কর্মী রয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে। তাদের ঢাকা এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। হতাহতের ঘটনায় আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।’
স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী চলে যাওয়ার আধা ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে আসেন নৌপরিবহণমন্ত্রী খালিদ হাসান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। পরিদর্শন শেষে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, অধিকসংখ্যক মানুষ নিহত ও আহত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত ব্যথিত ও মর্মাহত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী চিকিৎসা, আর্থিক অনুদানসহ বিভিন্ন খোঁজখবর নিতে আমাদের ৩ মন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন। আমরাও এ ধরনের অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করছি। তাছাড়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে মৃত ব্যক্তিদের ১ লাখ টাকা, আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে তাদের পরিবারকে দেওয়া হবে। তাছাড়া শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন নিহতদের ২ লাখ টাকা ও আহতদের ১ লাখ টাকা দেবে। এছাড়া চিকিৎসাসহ সব ধরনের সহযোগিতা করবে সরকার।
বিকাল ৫টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম-৪ সীতাকুণ্ড আসনের সংসদ-সদস্য দিদারুল আলম, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান, সীতাকুণ্ড উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম আল মামুন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুল আলম, সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ নুরুদ্দিন রাশেদ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনীসহ বিভিন্ন সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রামে ১০০ শয্যার বার্ন হাসপাতাল হবে : এদিকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণে দগ্ধ রোগীদের দেখতে এসে চট্টগ্রামে ১০০ শয্যার একটি বিশেষায়িত বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতাল স্থাপনের কথা জানিয়েছেন ডা. সামন্ত লাল সেন। সোমবার দুপুরে চমেক হাসপাতালের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামে একটি বিশেষায়িত বার্ন হাসপাতালের জন্য ১৫ বছর ধরে চেষ্টা চালাচ্ছি। হাসপাতালের স্থান নিয়ে সমস্যা হচ্ছিল। এখন নতুন করে চারটি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালের প্রধান ছাত্রাবাসের কাছে গোয়াছি বাগান এলাকায় ১০০ শয্যার বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালের জন্য একটি স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। এই স্থানটি অর্থ সহায়তাকারী দেশ চীনের পছন্দ হয়েছে।’
সামন্ত লাল সেন আরও বলেন, ‘বার্নের রোগীর জন্য আইসিইউসহ যে ধরনের অবকাঠামো প্রয়োজন, তা চট্টগ্রামে নেই। এর মধ্যেও চট্টগ্রামের বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকরা খুব ভালো সেবা দিচ্ছেন।’ তিনি বলেন, ‘বিএম ডিপোতে দগ্ধ ও চমেক হাসপাতালে ভর্তি থাকা তিনজন বার্ন রোগীর অবস্থা গুরুতর। তাদের পরিবারের সম্মতি পেলে আমরা এসব রোগীকে ঢাকায় নিয়ে যেতে চাই। দগ্ধদের শরীরের ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। এছাড়া শ্বাসনালিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
নিহতের সংখ্যায় গরমিল, মারা গেছেন ৪১ জন : সোমবার বিকাল পর্যন্ত বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় ৪১ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যদিও রোববার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিহতের সংখ্যা ৪৫ জন জানানো হয়েছিল। রাতে সিভিল সার্জনের পক্ষ থেকে জানানো হয় ৪৯ জন। ফলে মৃতের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। তবে রোববার চমেক হাসপাতালে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা ৪১টি লাশ পেয়েছেন বলে জানান।
সোমবার বিকালে চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত ৪১টি লাশ পেয়েছি। চমেক হাসপাতালে মোট ২১০ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে চমেক হাসপাতালে ১৫৫ জন ভর্তি হয়েছিলেন।
এখন ভর্তি আছেন ১০২ জন। এছাড়া সিএমএইচে ১৪ জন এবং জেনারেল হাসপাতালে ২ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন। বেসরকারি হাসপাতালগুলোয় চিকিৎসাধীন আরও ১১ জন। শনাক্ত লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে।’
নিহতের সংখ্যায় গরমিল প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান বলেন, ঘটনার পর কিছু লাশ চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়েছিল। সেখানে একবার গণনা করা হয়। পরে সেগুলো চমেক হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানেও গণনা করা হয়। এতে লাশের সংখ্যা বেড়ে যায়।