‘আমার জন্য কারও সংসার ভাঙেনি। আমি তাদের মাঝে আসার আগে থেকেই তাদের মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। অপু বিশ্বাস তো নিজেই বলেছেন, তার সাথে শাকিব খানের যোগাযোগ বন্ধ ছিল। তখন তো আমি ছিলাম না।’
রোববার ৪১ মিনিটের একটি ভিডিও প্রকাশ করে নিজের বিরুদ্ধে আসা একাধিক অভিযোগ নিয়ে এভাবেই মুখ খুলেছেন চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী। সেখানে তিনি দাবি করেছেন, চার বছরের বিবাহিতজীবনে শাকিবের থেকে কোন টাকা নেননি তিনি।
বুবলী জানান, সিনেমায় যখন তিনি আসেন, তখন অপু অজ্ঞাতবাসে। অপু যখন সন্তানসহ প্রকাশ্যে আসেন, তখন তার ফোনে কথা হয়েছিল বলে জানান এই নায়িকা।
বুবলীর কথায়, ‘২০১৬ থেকে আমি কাজ করছি। শাকিব খান, যিনি আমার সন্তানের বাবা, আমার স্বামী, তার সঙ্গে আমি কাজ শুরু করি বা সুযোগ পাই। উনি আমাকে মেন্টর হিসেবে গাইড করতেন। ওনার মাধ্যমেই আমার ফিল্মে আসা। ওই সময়ে আমি কেন, পুরো বাংলাদেশের কেউ কি জানতেন উনার আগের কোনো সম্পর্ক নিয়ে? এটা কিন্তু আমরা কেউই জানতাম না।’
অপুর সঙ্গে দূরত্বের পর কিভাবে বুবলী শাকিব সম্পর্কে জড়ান সেটা নিয়ে নায়িকা বলেন, ‘সে সময় উনি প্রায়ই বলতেন, উনি সেটেলড হতে চান।’
অপু বিশ্বাসের সঙ্গে কোনোদিনই দেখা হয়নি জানিয়ে বুবলী বলেন, উনি আমার সিনিয়র আর্টিস্ট। কিন্তু কোনোদিনই আমার সাথে ওনার সামনাসামনি দেখা হয়নি। ২০১৭ সালে যখন উনি টেলিভিশনে গিয়ে নিজের সন্তানের কথা প্রকাশ করেন, তার আগে আমাকে ফোন করেছিলেন এবং খুবই খারাপ ব্যবহার করেছিলেন।
অপু-শাকিবের সংসার ভাঙার জন্য নিজের দায় অস্বীকার করে বুবলী বলেন, কেউ যদি সংসার জীবনে অসুখী থাকেন, তারপর যদি অন্য কারও সাথে সম্পর্কে জড়ান, যার সাথে সম্পর্কে জড়ালেন সেখানে তার কী দোষ? আমি তো এসেছি অনেক পরে। কিন্তু তাদের প্রবলেমগুলো তো অনেক আগে থেকেই ছিল। আমাকে শাকিব খান তখন বলেছিলেন, তিনি সেই সম্পর্কটাতে সুখী না। আমার জন্য কারও সংসার ভাঙেনি। আমি তাদের মাঝে আসার আগে থেকেই তাদের মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। অপু বিশ্বাস তো নিজেই বলেছেন, তার সাথে শাকিব খানের যোগাযোগ বন্ধ ছিল। তখন তো আমি ছিলাম না।
বুবলীর ভাষ্য, ‘অনেকে বলে থাকেন, আমি নাকি শাকিব খানের কাছ থেকে অনেক আর্থিক সহায়তা নিই। এই কথাটাও সম্পূর্ণ ভুল। বিয়ে বা আমার সন্তান পৃথিবীতে আসার পর থেকে আমি কোনও আর্থিক সহায়তা নিইনি। স্বামী বা সন্তানের বাবা হিসেবে অবশ্যই এটা ওনার অনেক বড় দায়িত্ব। কিন্তু এটা সম্পূর্ণ তার ওপর নির্ভর করে। আমার সন্তানের বয়স তিন বছরের কাছাকাছি, আজ অব্দি আমি কখনোই আর্থিক সহায়তা নিইনি। সমস্ত কিছু নিজেই বহন করছি।’
নায়িকা আরও জানিয়েছেন, সন্তানকে নিয়ে আমেরিকায় থাকার সময়টাতে অনেক বড় অংকের খরচ হয়েছে। প্রায় এক বছরের মতো থাকতে হয়েছিলো। তখন তিনি (শাকিব) ১৫ হাজার ডলারের মতো হেল্প করেছিলেন। বাকি প্রায় ৩০ হাজার ডলারের মতো আমি নিজে বহন করেছিলাম। টাকার অংকটাও বললাম, কারণ এটা নিয়ে অনেক ভুল নিউজ হয়েছে। গিফট বা উপহারের বিষয়গুলো আলাদা। তবে আর্থিক সহায়তা কখনও নিইনি।
বুবলী নিজের বিয়ে প্রকাশের আগে শাকিব-অপুর ছেলে জয়ের জন্মদিনে নিজের ‘বেবি বাম্প’র ছবি দিয়েছিলেন সোশাল মিডিয়ায়, যা নিয়ে সমালোচনা হয়।