গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচ জিতেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলো নক-আউট। তৃতীয় ম্যাচে এসে ব্রাজিলের কোচ তিতে মাঠে নামিয়ে দিলেন বেঞ্চের একাদশ। ক্যামেরুনের বিপক্ষে সেই ম্যাচে ১-০তে হেরেই গেলো ব্রাজিল। শুধু হারলোই না, সেই ম্যাচে ব্রাজিলের সেই চিরচেনা খেলাও যেন চোখে পড়লো না। শেষ ম্যাচে হারলেও গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই নক-আউটে উঠলো ব্রাজিল।
নক-আউটে প্রতিপক্ষ এশিয়ার পরাশক্তি দক্ষিণ কোরিয়া। কোরিয়ার বিরুদ্ধে শক্তিশালী মূল স্কোয়াডই মাঠে নামালেন তিতে। আর তাতেই যেন মাঠে ফুটলো সাম্বার ফুল। কোরিয়াকে রীতিমত ছিন্নভিন্ন করে ৪-১ গোলের জয় নিয়ে কোয়ার্টারে ফাইনালে উঠে গেলো ব্রাজিল। কোয়ার্টারে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ গত বিশ্বকাপের রানার-আপ ক্রোয়েশিয়া।
গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচেই ইনজুরিতে পড়ার পর পরের দুই ম্যাচে আর মাঠে নামা হয়নি ব্রাজিলের প্রাণভোমরা নেইমারের। নক-আউটে কোরিয়ার বিপক্ষে শুরু থেকেই মাঠে নামলেন নেইমার। এক নেইমারকে পেয়েই যেন আরও বেশি জ্বলে উঠলো হলুদ জার্সিধারীরা। মাঠে ফিরেই গোল পেয়েছেন নেইমার। ভিনিসিয়াস, রিচার্লিসন আর পাকুয়েতা করেছে আরও তিন গোল, তাও মাত্র ৩৬ মিনিটের ভেতরে। দ্বিতীয়ার্ধে দক্ষিণ কোরিয়া শোধ দিয়েছে এক গোল। শেষমেশ ৪-১ গোলের জয় নিয়েই কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে সেলেসাওরা।
এদিকে, দিনের প্রথম ম্যাচে টাইব্রেকারে জাপানকে কাঁদিয়ে কোয়ার্টার নিশ্চিত করে রেখেছিলো ক্রোয়েশিয়া। ম্যাচের প্রথমার্ধে এগিয়ে গিয়েছিলো এশিয়া পাওয়ার হাউজ জাপান। দ্বিতীয়ার্ধে সেই গোল শোধ দেয় ক্রোয়েশিয়া। নির্ধারিত সময় শেষে ১-১ সমতায় থাকলে অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় খেলা। সেখানেও গোল করতে ব্যর্থ দুই দলই। শেষমেশ টাইব্রেকারে জাপানকে ৩-১ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার নিশ্চিত করে লুকা মদ্রিচের দল।
আগামী ৯ ডিসেম্বর রাত ৯ টায় এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল।