বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক অবস্থা টালমাটাল। প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়ছে হু হু করে। এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ওপরও। ৯০০ কোটি টাকার মালিক এই ক্রিকেট বোর্ড নড়েচড়ে বসেছে। বিসিবি সভাপতি ব্যয় সংকোচনের ঘোষণা দিয়েছেন। বিশেষ করে টাইগারদের বিদেশ সফরে দলের বহর কমানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যে কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দল থেকে বাদ দেয়া হয়েছে ৭ জন টিম স্টাফকে। পাঠনো হয়নি বিসিবির মিডিয়া বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার রাবিদ ইমামকেও। তাই প্রশ্ন উঠেছে এই ব্যায় সংকোচন নীতি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ট্যুর (এফটিপি) গুলোতে প্রভাব ফেলবে কিনা! তবে এমন সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দিয়েছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামুদ্দিন চৌধুরী সুজন। তিনি বলেন, ‘আমাদের বেশ কিছু কার্যক্রম আছে।
এর মধ্যে অবকাঠামোগত উন্নয়ন রয়েছে। সেক্ষেত্রে বড় ধরনের পুঁজির প্রয়োজন হবে। আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে যেহেতু ওরকম উন্নতি নেই, তাই প্রভাব তো পড়ছেই। সব কিছু বিবেচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যতটুকু সম্ভব ব্যয় সংকোচন করা যায়। তবে নিশ্চয়তা দিচ্ছি, সেক্ষেত্রে আমাদের এফটিপিতে প্রভাব পড়বে না।’ অন্যদিকে এই বছরের নভেম্বরে বাংলাদেশ সফরে আসার কথা রয়েছে ভারতের। তবে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপের পর পরই ভারত দল আসতে পারবে কিনা সেটি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সিরিজ রিশিডিউল বা ম্যাচ কমানোর গুঞ্জনও আছে। তবে নিজামুদ্দিন সুজনের আশা, ভারত সফর যথা সময়েই হবে। তিনি কলেন, ‘এ বছরের এপ্রিলে এফটিপি ডেভেলপের একটা মিটিং ছিল। সেখানে শুধু ২০২২ না, ২০২৭ পর্যন্ত এফটিপি কী হবে এ নিয়ে কাজ শুরু করেছি। কাজ চলছে। আপনারা যেভাবে জানেন সিরিজগুলো সেভাবেই নির্ধারণ করা আছে। আশা করছি নির্ধারিত সময়েই সিরিজগুলো আয়োজন করা যাবে। টাইমিং এখনও আমরা চূড়ান্ত করিনি। এটা মূলত ব্রডকাস্টার, টিম ম্যানেজমেন্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করেই এটা ঠিক করবো।’ এছাড়াও অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড সফরে যাওয়ার কথাও চলছে বলে জানিয়েছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী। তিনি বলেন, ‘আগামী ২০২৭ পর্যন্ত যে এফটিপি চূড়ান্ত করা হয়েছে, সামপ্রতিক সময়ে সফর করিনি এমন সফর সেখানে বিবেচনাধীন। সেভাবেই আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলছি। আশা করছি আশানুরূপ কিছু হবে।’