নতুন পৃথিবীর আবহাওয়ায় নিজেকে খাপ খাওয়াতে সদ্যোজাত শিশুর বেশ সময় লেগে যায়। আর এ সময় শিশুদের ত্বকও থাকে খুব সংবেদনশীল। এ সময়টাতে খুবই পাতলা নরম কাপড়ের পোশাকই ভালো। এই প্রচণ্ড গরমে শিশুর পোশাক হতে হবে আরামদায়ক ও সহজে পরিধেয়।
নতুন পৃথিবীর আবহাওয়ায় নিজেকে খাপ খাওয়াতে সদ্যোজাত শিশুর বেশ সময় লেগে যায়। আর এ সময় শিশুদের ত্বকও থাকে খুব সংবেদনশীল। এ সময়টাতে খুবই পাতলা নরম কাপড়ের পোশাকই ভালো। এই প্রচণ্ড গরমে শিশুর পোশাক হতে হবে আরামদায়ক ও সহজে পরিধেয়।সদ্যোজাত শিশু থেকে ১ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুর জন্য ৫ থেকে ৭ বার ধোয়া হয়েছে, এমন কাপড়ের পোশাক পরানো ভালো। অনেকবার ধোয়া কাপড়ের পোশাকে কৃত্রিম রং কম থাকে। তা ছাড়া দাদি-নানিদের ব্যবহার করা পুরোনো শাড়ি দিয়েও এই বয়সী শিশুর পোশাক তৈরি করা যেতে পারে বলে জানালেন দেশালের ভাইস চেয়ারপারসন ও চিফ ডিজাইনার ইসরাত জাহান।
তাঁদের পোশাকে জবরজং নকশার কোনো দরকার নেই। মেশিন এমব্রয়ডারি শিশুর পোশাককে ভারী করে তোলে। মেশিন এমব্রয়ডারি, জরি সুতোর কাজ, ঝকমকে লেসের পোশাক এ সময় পছন্দের তালিকায় তাই না রাখাই ভালো। একান্তই যদি কেউ নকশা করতে চান, তাহলে হাতে রঙিন সুতো দিয়ে কিছু সহজ–সুন্দর নকশা সেলাই করে নিতে পারেন।
রং নির্বাচনের ক্ষেত্রে বেশ কটকটে রঙের পোশাক পরিহার করাই শ্রেয়। একেবারেই হালকা রঙের পোশাক যেমন কলাপাতা, হালকা গোলাপি, আকাশি, হালকা হলুদ, কমলা—এগুলো শিশুকে মানাবে, আবার স্বস্তিও দেবে। কালো, খয়েরি, বেগুনিতে গরম বেশি অনুভূত হবে।
পোশাকের ডিজাইনেও আরামের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। বুকফাড়া, পিঠফাড়া কিংবা পাশফাড়া পোশাক এ সময় জুতসই। শিশু জন্মানোর পর মাথার সাইজ একটু বড় থাকে, কাটিংয়ে এই বিষয়টাকে বিবেচনায় রাখতে হবে। শিশুর পোশাকের প্যাটার্ন হিসেবে দেখা যায় ক্রস বর্ডার, ইউ শেপ, লাফাজো (পোশাকের নিচের দিকটা ফোলানো)। বাইরে বেড়াতে গেলে লাফাজো প্যাটার্নের পোশাক পরাতে পারেন।
শিশুর পোশাকের কাপড় সুতি হওয়াই ভালো বলে জানালেন শৈশবের সিইও সাকিব চৌধুরী। পাতলা সুতির পোশাক সহজেই ঘাম শুষে নেয়, এমনটাই জানালেন ঢাকা শিশু হাসপাতালের শিশুবিশেষজ্ঞ ডা. লুনা পারভিন।
শিশুর পোশাকের বোতাম নিয়েও অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে। পোশাকের কোন জায়গায় জুতসই হবে বোতাম, সামনে না পেছনে? শিশুর পোশাক যে ডিজাইনেরই হোক না কেন, খেয়াল রাখতে হবে বোতাম যেন ওর হাতের নাগালের বাইরে থাকে। তাই বোতাম পেছন দিকে দেওয়ার পরামর্শই দিয়ে থাকেন ডিজাইনাররা। সহজে যেন খুলে না যায়, সে বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে। হাতের নাগালে থাকলে বাচ্চারা ভুলে মুখে দিয়ে গলায় বা নাকে ঢুকিয়ে ফেলতে পারে, এতে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। আবার হামাগুড়ি দেওয়ার সময়ও বোতাম বেশ ঝামেলার বস্তু হয়ে ওঠে। তাই অনেকে বোতাম পরিহার করে ফিতাযুক্ত পোশাকের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।