রমজানে চাহিদা বাড়ে এমন আটটি ভোগ্যপণ্যের পর এবার চাল ও গম আমদানির জন্য ঋণপত্র বা এলসি খোলার ক্ষেত্রে নগদ মার্জিন বা জমার হার ন্যূনতম পর্যায়ে রাখতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল বুধবার দেশের সব তপশিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের উদ্দেশ্যে এ বিষয়ে এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
এতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে সরবরাহ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হওয়ায় খাদ্যশস্যের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি পরিলক্ষিত হচ্ছে। এছাড়া আন্তর্জাতিক পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধিও খাদ্যশস্যের মূল্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। ভবিষ্যৎ খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশের প্রধান খাদ্যশস্য চাল ও গমের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখাসহ নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ অব্যাহত রাখা আবশ্যক। এ প্রেক্ষাপটে দেশের বাজারে চাল ও গমের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা এবং সরবরাহ ব্যবস্থা নিরবচ্ছিন্ন রাখতে এলসি খোলার ক্ষেত্রে নগদ মার্জিনের হার ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ন্যূনতম পর্যায়ে রাখার নির্দেশনা দেওয়া হলো।
দেশে প্রধান খাদ্যশস্য চালের দাম অনেক দিন ধরেই বাড়তি। অন্যদিকে আটার দাম ঘন ঘন বাড়ছে। বিশ্ববাজারে অস্থিরতা এবং সাম্প্রতিক সময়ে ডলারসংকটের কারণে নিত্যপণ্যের আমদানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে।
গত মঙ্গলবার এক প্রজ্ঞাপনে রমজানে বেশি প্রয়োজন হয় এমন আট পণ্যের এলসিতে নগদ জমা বা মার্জিনের হার ন্যূনতম পর্যায়ে রাখতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এসব পণ্য হলো— ভোজ্য তেল, চিনি, ছোলা, খেজুর, ডাল, মটর, পেঁয়াজ ও মসলা। এসব পণ্য আসার পর ৯০ দিন বাকিতে বিদেশি ঋণ পরিশোধের সুযোগ সোমবার আরেকটি প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।