দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যসহ গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙা করছে এজেন্ট ব্যাংকিং। প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে ব্যাংকগুলোর এজেন্ট শাখা। এর ফলে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে বাড়ছে আমানত সংগ্রহের পরিমাণ।
চলতি অর্থবছরের অক্টোবরে ৩০ হাজার ৬২৬ কোটি টাকার আমানত সংগ্রহ করেছে এসব শাখাগুলো। তবে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে আগের মাসের চেয়ে কিছুটা পিছিয়ে পড়েছে ব্যাংকের এজেন্ট শাখাগুলো। অক্টোবরে মোট ঋণ বিতরণ করে ৬৭৪ কোটি টাকা, যা আগের মাসের চেয়ে ১১ কোটি টাকা কম। সেপ্টেম্বর মাসে ঋণ বিতরণের পরিমাণ ছিলো ৬৮৫ কোটি টাকা। এরমধ্যে ৪৩৩ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ হয় গ্রামে এবং শহরের শাখাগুলোতে বিতরণ করে ২৪০ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
ব্যাংকগুলো এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা ইউনিয়ন পর্যায়ে নিয়ে গেছে। আমানত রাখা, ঋণ বিতরণ ও প্রবাসী আয় আনার পাশাপাশি তারা স্কুল ব্যাংকিং চালু করেছে। গ্রামগঞ্জে সরকারের সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির ভাতাও বিতরণ করছে এজেন্টরা।
তথ্য অনুযায়ী, আমানত সংগ্রহে শহরের চেয়ে এগিয়ে ছিলো দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের শাখাগুলো। অক্টোবরে এসব গ্রাম অঞ্চলের গ্রাহকরা মোট ২৪ হাজার ৭১৯ কোটি টাকার আমানত রাখে, যা আগের মাসের তুলনায় ৪৭৬ কোটি টাকা বেশি। সেপ্টেম্বরে গ্রামের শাখাগুলো আমানত সংগ্রহ করেছিলো ২৪ হাজার ২৪৩ কোটি টাকা। অপরদিকে চলতি বছরের অক্টোবরে শহরের এজেন্ট ব্যাংকের শাখাগুলোতে মোট ৫ হাজার ৯০৭ কোটি টাকা আমানত রাখে গ্রাহকরা।
এসময় এজেন্ট ব্যাংকের শাখাগুলোতে লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে। অক্টোবরে মোট লেনদেন হয় ৫৯ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা, যা আগের মাসের তুলনায় ৪৭৫ কোটি টাকা বেশি। সেপ্টেম্বরে লেনদেন হয়েছিলো ৫৯ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা।
অপরদিকে অক্টোবরে আগের মাসের তুলনায় গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিল বেশি পরিমাণে পরিশোধ হয়েছে এজেন্টে। এ মাসে খাতটিতে মোট ১৪৫ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়। সেপ্টেম্বরে যার পরিমাণ ছিলো ১৩৮ কোটি টাকা।
এজেন্ট শাখাগুলোতে রেমিট্যান্সের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। আলোচ্য মাসে মোট ২ হাজার ৬০৬ কোটি টাকার রেমিট্যান্স আসে এজেন্টের মাধ্যমে, যা আগের মাসের চেয়ে ১৭২ কোটি টাকা বেশি। সেপ্টেম্বর মাসে এজেন্টের মাধ্যমে মোট ২ হাজার ৪৩৪ কোটি টাকা রেমিট্যান্স পাঠায় প্রবাসীরা।