প্রস্তাবিত বাজেটে অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছে পরিবহণ ও যোগাযোগ খাত। বরাদ্দের হার বিবেচনায় এ খাতটি তৃতীয় নম্বরে রয়েছে। বাজেটের ১২ শতাংশ এ খাতে বরাদ্দ প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
২০২২-২৩ অর্থবছরে এ খাতে ৮১ হাজার ৫১৮ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন তিনি। চলতি অর্থবছরে ছিল ৭২ হাজার ২৯ কোটি টাকা। যদিও ব্যয় হবে ৬৫ হাজার ৮৭৯ কোটি টাকা।
যোগাযোগ খাতে ৩৬ হাজার ৬৪৭ কোটি টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। এরমধ্যে ৩১ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা ব্যয় হবে সড়ক নির্মাণ প্রকল্পে। চলতি অর্থবছরে সড়কে বরাদ্দ ছিল ৩২ হাজার ৯৪৩ কোটি টাকা।
তবে সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দ বেড়ে হয় ৩২ হাজার ৯৯৭ কোটি টাকা। সড়ক খাতের উন্নয়ন বিষয়ে বৃহস্পতিবার সংসদে বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, ১৩ বছরে সড়কপথের উন্নয়নে ৩৫৭টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ৪৪৮টি নতুন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এই সময়ে ১৭৩ দশমিক ২০ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক চার বা ততোধিক লেনে উন্নীত করা হয়েছে। ৯১৪ দশমিক ৮৪ কিলোমিটার মহাসড়ক চার বা ততোধিক লেনে উন্নীত করার কাজ চলছে।
এদিকে রেল মন্ত্রণালয়ের জন্য আগামী অর্থবছরে ১৮ হাজার ৮৫৩ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি অর্থবছর ছিল ১৭ হাজার ৫৪২ কোটি টাকা। তবে সংশোধিত বাজেটে তা কমে ব্যয় হবে ১৬ হাজার ৩৫৪ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ৭৯৮ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মাণ, বিদ্যমান রেলপথের সমান্তরালে ৮৯৭ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ রেললাইন নির্মাণ এবং ৮৪৬ কিলোমিটার রেলপথ সংস্কারে প্রকল্প রয়েছে। ১৬০টি ইঞ্জিন এবং এক হাজার ৭০৪টি যাত্রীবাহী বগি সংগ্রহ করা হবে।
আগামী অর্থবছরে সেতু বিভাগের বরাদ্দ কমছে। আগামী বছরের জন্য ৯ হাজার ২৯৭ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ প্রস্তাব ছিল ৯ হাজার ৮২০ কোটি টাকা। যদিও সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দ কমে হয়েছে পাঁচ হাজার ৭২৯ কোটি টাকা।
নৌপরিবহণ খাতে সাত হাজার ২২৩ কোটি টাকা, বিমান পরিবহণে সাত হাজার চার কোটি এবং টেলি যোগাযোগে দুই হাজার ৪৯৪ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। বিমান খাতের বরাদ্দের বড় অংশ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালে ব্যয় হবে।