২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটকে কোভিড-পরবর্তী অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর বাজেট হিসেবে আখ্যায়িত করেছে আওয়ামী লীগ। তারা বলেছেন, এটা গরিববান্ধব, ব্যবসাবান্ধব ও গণমুখী বাজেট।
‘বাজেটে উন্নয়নের ধারা অক্ষুন্ন রাখা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট সংকট মোকাবিলা করে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, ভর্তুকির চাপ সামাল দেওয়াসহ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর দিকে বিশেষ লক্ষ রাখা হয়েছে। বাজেটে সবদিক বিবেচনা করে নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্তদের বিষয়ে নজর দেওয়া হয়েছে।’
বাজেটের সমালোচনার জবাবে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বলছেন, প্রতিবার বাজেট পেশ করার পর বিএনপিসহ কিছু রাজনৈতিক দল, ও বুদ্ধিজীবী নেতিবাচক কথা বলে। আসলে জনমানুষের উন্নয়ন ভালো লাগে না বলেই এই সমালোচনা। এদিকে প্রস্তাবিত বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে রাজধানীতে আনন্দ মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো।
বৃহস্পতিবার বাজেট অধিবেশন শেষে প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, এই বাজেটে নিশ্চয়তা আছে, সোশ্যাল সেফটিনেট গতবারের চেয়ে আরও ৭ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে, আওতা বাড়ানো হয়েছে। কাজেই এই বাজেটে সবদিক বিবেচনা করে নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্তদের বিষয়ে নজর দেওয়া হয়েছে। কাজেই এটা গরিবের বাজেট, ব্যবসাবান্ধব বাজেট ও গণমুখী বাজেট।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাজেটে অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী বাড়ানো হয়েছে যাতে নিম্ন আয়ের মানুষ সুরক্ষা পায়। এটি গরিববান্ধব বাজেট। তিনি বলেন, প্রতিবার বাজেট পেশ করার পর বিএনপিসহ কিছু রাজনৈতিক দল ও বুদ্ধিজীবী বরাবর নেতিবাচক কথা বলে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে- গত সাড়ে ১৩ বছরে সব নেতিবাচক মন্তব্য ও প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, কোভিড-পরবর্তী পরিস্থিতিতে কর্মসংস্থানের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বৈশ্বিক পরিস্থিতির সঙ্গে খেয়াল রেখেই এই বাজেট খেটে খাওয়া মানুষের বাজেট, ব্যবসাবান্ধব ও গণমুখী বাজেট। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাজেট প্রতিক্রিয়ার জবাবে নাছিম বলেন, বিএনপি ও মির্জা ফখরুলের রাজনীতি লুটপাটের রাজনীতি। দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার রাজনীতি। তারা কখনোই সাধারণ মানুষের কথা ভাবেনি। এখনো ভাবে না।
প্রস্তাবিত বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল করেছে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও কৃষক লীগ।
এ ছাড়া রাজধানীর ডেমরায় আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছে থানা আওয়ামী লীগ।